বন্দুকভাঙার যমচুক-মারিচুকে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্র অব্যাহত

0


রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাঙ্গামাটির বন্দুকভাঙা ইউনিয়নে যমচুক-মারিচুক পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।

এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সদস্যরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যমচুক ও তন্যাছড়ি মোন রেঞ্জের ৩-৪টি পয়েন্ট থেকে ফায়ার করে প্রতিপক্ষের সাথে যুদ্ধ করার ভাণ করে।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত থেমে থেকে ফাঁকা গুলি বর্ষণ চলে।

এর আগের দিনও (২০ ফেব্রুয়ারি) জেএসএস সদস্যরা একইভাবে ফাঁকা গুলি করে।

যমচুক-মারিচকু পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জন্য অজুহাত সৃষ্টি করতে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল জেএসএস সন্তু গ্রুপকে দিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজাচ্ছে বলে এলাকার বিশিষ্ট জনের অভিমত।

উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল মারিচুক পাহড়ে অবস্থান নিয়ে সেখানে একটি সেনা ক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা এক মাসের অধিক অবস্থান করে যমচুক পাহাড়ে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সুপারি বাগান কেটে দিয়ে একটি হেলিপ্যাড নির্মাণ করে।

সেখানে সেনাক্যাম্প স্থাপনের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ ও ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ নামে একটি সংগঠন রাঙামাটি সদরে মানববন্ধনসহ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ ও পোস্টারিং করে। গত ২ ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসী ও যমচুক বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের পক্ষ থেকে মারিচুকে ক্যাম্প স্থাপন না করার দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

পরবর্তীতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দুপুর ১:০০টার সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা মারিচুক ছেড়ে চলে যায়।

তবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখান থেকে চলে যাওয়ার সাথে সাথে সেদিন জেএসএস সন্তু গ্রুপ সেখানে অবস্থান নেয়। 

এরপর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর আরেকটি দল মারিচুকে গেলে সন্তু গ্রুপ সেখান থেকে সরে যায় এবং সেনারা চলে যাওয়ার পর আবারো সেখানে অবস্থান অবস্থান নিয়ে সেনাক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। 



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More