বাজেট প্রত্যাখ্যান করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মশাল মিছিল

ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
আসন্ন অর্থবছরের শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, তা জিডিপির মাত্র ১.৬৯ শতাংশ উল্লেখ করে সরকারের গণবিরোধী এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদী মশাল মিছিল করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন ২০২৪) সন্ধ্যা ৭টায় টিএসসি থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈমের সভাপতিত্বে এবং ছাত্র জোটের সহ-সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশানের সঞ্চালনায় মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক নাঈম উদ্দিন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শিক্ষাখাতে বাজেট কমানো হয়েছে। এটা সবার কাছে স্পষ্ট যে, জাতীয় বাজেট ব্যবসায়ী ও পুঁজিপতিদের সিদ্ধান্তে হয়। এই বাজেট শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, এই বাজেট শ্রমিক-কৃষক-মেহনতিদের জন্য নয়। ক্রমাগত শিক্ষা খাতে ব্যয় কমিয়ে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। আজ আমরা যখন শিক্ষা ধ্বংসের এই বাজেটের বিরোধীতা করছি তখন ক্ষমতাসীনদের গোলাম ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে গণবিরোধী বাজেটের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের জন্য উল্লাস মিছিল করছে।

বক্তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বাহালের রায়েরও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায়ের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো এদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন না। এই প্রহসনের রায় আমরা প্রত্যাখ্যান করি। প্রতিবন্ধী, পিছিয়ে পড়া অঞ্চল-জনগোষ্ঠী-আদিবাসীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করে চেতনাধারী মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি জানাই আমরা।”
বক্তারা আরও বলেন, “জনগণের মতের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় বসে আছে ফ্যাসিস্ট সরকার। এজন্য এমন গণবিরোধী ও গরীব মারার বাজেট পাশ হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট কায়দায় শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রতিনিয়ত দেশকে বিক্রি করছে। স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষাসহ জনসেবামূলক প্রত্যকেটি খাতে এমন বেহাল দশার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসন দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের টাকা লুটপাট করার এক মহোৎসব চালাচ্ছে। সেইসাথে অবাধে চালাচ্ছে গুম, খুন ও ক্রসফায়ার। সরকার সেনাবাহিনীকে একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। সড়ক উন্নয়নের নামে, শান্তি রক্ষার নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর ওপর সরকারের পোষা এই সেনাবাহিনী সন্ত্রাস ও নিপীড়ন চালাচ্ছে।”
সমাবেশ থেকে গণবিরোধী বাজেট ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে গণবিরোধী রায় বাতিলের দাবি জানানো হয়। একই সাাথে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে এই অবৈধ সরকারকে উৎখাতের আহ্বান জানানো হয়।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।