বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানকালে গুলিতে বম জাতিসত্তার ৩ জন নিহত

0


বান্দরবান প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বান্দরবানে রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানকালে গুলিতে বম জাতিসত্তার তিন জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী দুজন ও আরেকজন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিহতদের “কেএনএফ সদস্য” দাবি করা হয়েছে। তবে কেএনএফ-এর দাবি নিহতরা সাধারণ গ্রামবাসী।

আজ রবিবার (২৪ নভেম্বর ২০২৪) সকালে রুমা উপজেলার মুননুয়াম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর পক্ষে সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার গহিন জঙ্গলে সেনাবাহিনী কেএনএফের গোপন আস্তানা সন্ধান পায়। সেখানে অভিযান চালালে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফের তিন সন্ত্রাসী নিহত হন।”  অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধারে এই অভিযান এখনো চলছে বলে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

তবে কেএনএফের পরিচালিত ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছে “রবিবার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মুননুয়াম পাড়ার পাশ্ববর্তী জঙ্গলে বোমা নিক্ষেপ ও এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে তিন জন গ্রামবাসী নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্য একজন বৃদ্ধ ও অন্য দুজন একটি পরিবারের স্বামী-স্ত্রী”।

তারা নিহতদের পরিচয়ও জানিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যমতে নিহতরা হলেন- ১. এল্ডার পেনখুপ (৭২) গ্রাম- সারন পাড়া। তিনি সারণ পাড়া চার্চের ধর্মীয় গুরু বলে তারা উল্লেখ করেছে; ২. মেসি ভাললাললিয়ান (১৯), গ্রাম- হেপি হিল; ও ৩. এলি ভানজিরপার (১৮); স্বামী- মেসি ভানলাললিয়ান। তাকে একজন গর্ভবতী মা বলে কেএনএফ তাদের পেজে দেয়া পোস্টে উল্লেখ করেছে।

এছাড়া কেএনএফের পরিচালিত উক্ত ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে আরো বলা হয়েছে, রবিবারে প্রার্থনার পর তারা খাবার খেতে বসার সময়েই তাদেরকে লক্ষ্য করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করেছে। আর এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। নিহতরা নির্যাতন ও গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল এবং ভয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে মিয়ানমার বা ভারতে পাড়ি জামানোর চেষ্টা করছিল বলেও এতে তারা উল্লেখ করেছে।

রুমা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, পাইন্দূ ইউনিয়নে কুত্তাঝিরি নামক স্থানে সেনাবাহিনীর অভিযানে তিনজন কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছে বলে শুনেছি।  তবে দাপ্তরিকভাবে এখনো কোনো তথ্য আসেনি।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More