বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়িতে আরো ৯ জনকে গ্রেফতার
বান্দরবান, সিএইচটি নিউজ
শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আরো ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন বম ও ১ জন লুসাই রয়েছেন।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার (১২ ও ১৩ জুন ২০২৪) এ গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন মিডিয়ার সূত্রে জানা গেছে।
রুমা উপজেলার থেকে বুধবার যৌথবাহিনীর সদস্যরা যে তিন জনকে গ্রেফতার দেখায় তারা হলেন- জন পল বম (২৭), জনি লুসাই (৪১) ও লাল রুবাল খুপ বমকে (৫০)।

গ্রেফতারের পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে তাদেরকে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইসুমা সুলতানা তাদরকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়। পরে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয।
আর রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) যাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তারা হলেন- ইসহাক বম (৩৮), মুনকিম লিয়ান বম (৪৩), রোয়াল লিয়ান সাং বম (৩০), রাম চনহ সাং বম (২৫), রোয়ালে খুম লিয়ান বম (৪০), কাপ ময় থাং বম (৩৪)।
আজ শুক্রবার (১৪ জুন) তাদেরকে রোয়াংছড়ি সদর থানার দায়ের করা ১ নম্বর মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

রোয়াংছড়ি থেকে গ্রেফতার দেখানো উক্ত ৬ জনের মধ্যে গত ২ মে রোয়াংছড়ির পাইক্ষ্যং পাড়া থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক যে ২১ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের মধ্য থেকে ৪ জনের নামও রয়েছে। এরা হলেন- রোয়াল লিয়ান সাং বম (৩০), রাম চনহ সাং বম (২৫), রোয়ালে খুম লিয়ান বম (৪০), কাপ ময় থাং বম (৩৪)।
গত ২ মে থেকে উক্ত ২১ জনের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, যদিও তাদের মধ্য থেকে অন্তত ৫ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ইউপিডিএফ সেই ২১ জনের সন্ধান চেয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিৃবতি দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানে রুমায় নাটকীয়ভাবে সোনালী ব্যাংকের শাখায় হামলা, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুট এবং পরে ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রুমা থানায় ১৩টি, থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটিসহ মোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৭ এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় যৌথবাহিনী রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচিসহ আশে-পাশের এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানে বম জাতিসত্তার জনগণের ওপর নারী-শিশুসহ নির্বিচারে গ্রেফতার, আটক, হয়রানি, বিচার বহির্ভুত হত্যার ঘটনা ঘটছে।
চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত ১০৫ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে মিডিয়া ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া তিন জন নারীর সাথে দুধের শিশুসহ ৪ নাবালক শিশুও জেলে অন্তরীণ রয়েছেন। আর অভিযান চলাকালে কথিত ‘গোলাগুলির নামে’ শিশু, শিক্ষার্থী, খেলোয়াড়সহ অন্তত ১৫ জন বিচার বহির্ভুত হত্যার শিকার হয়েছেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।