বান্দরবানে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ

0

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

বান্দরবানে বম জনগোষ্ঠীর ওপর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে  ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি ইউনিট।

আজ শনিবার (৮ এপ্রিল ২০২৩) বিকাল ৪ টার দিকে “পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ কর, অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে খুনীদের সাজা দাও” শ্লোগানে খাগড়াছড়ি সদরের নারাঙহিয়ে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জেলা পরিষদ হয়ে স্বনির্ভর বাজারে শহীদ অমর বিকাশ চকামা সড়কের উপর সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফ-এর সংগঠক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি শান্ত চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমা।

বক্তারা বলেন, বান্দরবানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে নব্যমুখোশ-সংস্কারপন্থী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বম জনগোষ্ঠির সাধারণ লোকজনকে অপহরণের পর ‘দু’পক্ষের গোলাগুলি’র নাটক সাজিয়ে ৮ জনকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। ‘কেএনএফ’ নামধারী একটি গোষ্ঠিকে দমনের নামে রাষ্ট্রীয় বাহিনী এই ঘৃণ্য অপকৌশল প্রয়োগ করে বম জনগোষ্ঠির লোকজনকে হত্যার মাধ্যমে জাতিগত সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে। এভাবে রাষ্ট্রীয় বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে।  

বক্তারা উক্ত নারকীয় হত্যাকাণ্ডর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, সরকার ও রাষ্ট্রীয় বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার সুগভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বম জাতিগোষ্ঠির শত শত লোক ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়ার ঘটনা তাই প্রমাণ করে।  

সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসী ও তাদের মদদদাতাদের আইনের আ্ওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদপুষ্ট নব্যমুখোশ-সংস্কারপন্থীদের একটি সশস্ত্র দল রুমার জারভারাং পাড়া থেকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ ২২ জনকে অপহরণ করে সীমান্তবর্তী রোয়াংছড়ির খামতাং পাড়া স্কুলে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ২২ জনকে ছেড়ে দেয়া হলেও পরদিন (৭ এপ্রিল) সকালে ‘দু পক্ষের গোলাগুলি’র নাটক সাজিয়ে বাকীদের নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় পুলিশ ৮ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানায়।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More