বাবুছড়ায় বিজিবি হামলার পর মামলা: ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Khagrachariখাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলা আদালত দীঘিনালার বাবুছড়ায় বিজিবি’র করা মামলায় আজ সোমবার ২ জনকে জামিন দিলেও ৫ জনকে জেল হাজতে ও ১৬-বছর বয়সী মেয়েকে পুলিশের হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ বিকেলে পুলিশ বাবুছড়ায় বিজিবি-পুলিশী হামলায় গুরুতর আহত চার পাহাড়ি নারীকে খাগড়াছড়ি হাসপাতাল থেকে আদালতে সোপর্দ করে। তাদের প্রত্যেকের জামিন প্রার্থনা করা হলেও কগনিজেন্স আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট গোপা দেবী চাকমাকে জামিন দিয়ে বাকিদের জামিন না-মঞ্জুর করে।

এই তিন জনের মধ্যে গোপা দেবী চাকমার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে অপ্সরি চাকমাও রয়েছেন। আদালত তাকে পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

এছাড়া অপর দু’জন মায়ারাণী চাকমা ও ফুলরাণী চাকমার জামিন আবেদন নাকচ করে তাদেরকে আদালত জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন পুলিশ মায়ারাণী চাকমার স্বামী স্নেহ কুমার চাকমা ও ফুলরাণী চাকমার স্বামী প্রদীপ কুমার চাকমাকে খাগড়াছড়ি হাসপাতালের গেট থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদেরকেও জেলে পাঠিয়ে দেন। তারা উভয়েই তাদের আহত স্ত্রীদের দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন।

অভিযুক্ত নারীদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন এডভোকেট আশুতোষ চাকমা। বিজিবির উক্ত মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নারীরা এতই অসুস্থ ও দুর্বল যে, তারা আদালতে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারছিলেন না। তারা বার বার ফ্লোরে বসে পড়ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাগড়াছড়ির এক আইনজীবী বলেন, যে ৪৯৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়ে সে ধারায় জামিন অযোগ্য হলেও, বিশেষ ক্ষেত্রে যদি আসামী নারী অথবা বৃদ্ধ অথবা শারীরিকভাবে অক্ষম অথবা অসুস্থ হলে আদালত তাদেরকে জামিন দিতে পারেন।

তিনি বলেন, যাদের জামিন না মঞ্জুর করা হয়েছে তারা জামিন পাওয়ার যোগ্য, কারণ তারা একাধারে নারী, দ্বিতীয়ত তারা অসুস্থ, তৃতীয়ত তারা বৃদ্ধ।

অপরদিকে, উক্ত ৪ নারী ছাড়াও , বাবুছড়ায় বিজিবির করা মামলায় অভিযুক্ত ২৫০ জনের মধ্যে ৪ জন আজ সকালে কোর্টে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত তাদের মধ্যে একজন রবিজয় চাকমাকে (গ্রামের কার্বারী) জামিন দিয়ে বাকিদের জেলে পাঠিয়ে দেন। এরা হলেন মহেন্দ্র চাকমা(৭০), নিধুরাম চাকমা(৫৫) ও নতুন চন্দ্র কার্বারী(৬০)।
———–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More