বাবুছড়ায় বিজিবি হামলার নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন

0

সিএইচটিনিউজ.কম
পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক কমিশন বাবুছড়ায় বিজিবি হামলার নিন্দা জানিয়ে ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

Bibrityগতকাল ১২ জুন দেয়া উক্ত বিবৃতিতে কমিশন বলেছে, “বিবাদিত ভূমির ব্যাপারে কোর্টের স্টে অর্ডার জারি রয়েছে, যাতে বলা হয়েছে আদালত উক্ত ভূমির মালিকানা বিষয়ে তার রায় দেয়ার আগ পর্যন্ত কেউ তা ব্যবহার করতে পারবে না। স্থানীয় পাহাড়িরা এই জমি বহু বছর ধরে চাষ করে আসছেন। অথচ বাংলাদেশ সরকার কেবল ১৯৯১ সালে বিদ্রোহ চলাকালীন সময় এবং জমির মালিকানা নিষ্পত্তি হওয়ার আগে সেখানে বিজিবির ব্যাটালিয়ন [হেডকোয়ার্টার] নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। স্থানীয়রা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে কারণ তাদের ওই জমিতে প্রথাগত মালিকানা রয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য যে, বিজিবি ও পুলিশের মতো শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে এবং নিরীহ পাহাড়ি জনগণের মানবাধিকার হরণ করেছে।”

কমিশন হামলা সম্পর্কে বলেছে: “১১ জুনের ঘটনায় অভিযোগ আছে যে, বিজিবি এবং পুলিশ স্থানীয় ব্যাটালিয়ন [হেডকোয়ার্টার] স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী পাহাড়ি জনগণের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেছে, এবং তাদের উপর কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করেছে। প্রতিবাদকারীদের উপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এ রকম বর্বর শক্তি ব্যবহার সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।”

কমিশন অবিলম্বে এই হামলার সুষ্ঠু, সম্পূর্ণ ও স্বাধীন তদন্ত এবং আইন প্রয়োগকারী বাহিনী হিসেবে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

“আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ায় যাদেরকে দোষী হিসেবে পাওয়া যাবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে, তা না হলে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে থাকবে” বলে কমিশন মনে করে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন শীঘ্র ভূমি কমিশন আইন সংশোধন এবং এই কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে একজন সক্ষম, বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের তিন কো-চেয়ার — এরিক এভিবুরি, সুলতানা কামাল ও এলসা স্ট্যামাটোপৌলৌ (Elsa Stamatopoulou)।
—————-

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More