মহালছড়িতে বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস পালন, দুই স্থানে বাধা

0

মহালছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩

খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস পালিত হয়েছে। তবে তিন স্থানে (মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন, মুবাছড়ি ইউনিয়ন ও মাইসছড়ি ইউনিয়ন) কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও ডিজিএফআই ও সংস্কার-মুখোশরা দুই স্থানে বাধা প্রদান করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই ২০২৩) মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের সচেতন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যাগে সমাবেশ ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান করার প্রস্তুতিকালে মো. মোসাদ্দেক নামে মহালছড়ি জোনের ডিজিএফআইয়ের সদস্য মো, মোসাদ্দেক এক ছাত্রকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে ‘তোমরা যদি আজকে এই সমাবেশ করো তাহলে পরবর্তীতে আমি তোমাদের দেখে নেবো’। এটা ‘ইউপিডিএফের সমাবেশ’ বলেও সে উল্লেখ করে। এতে শিক্ষার্থীরা ভয়ে সমাবেশটি বাতিল করতে বাধ্য হয়।  

অপরদিকে, মুবাছড়ি ইউনিয়নেও একইভাবে সমাবেশ প্রস্তুতির সময় সংস্কার-মুখোশরা বাধা দিয়ে বলে এখানে কোন সমাবেশ বা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান করা যাবে না। যার কারণে মুবাছড়িতেও সমাবেশ করা সম্ভব হয়নি।

তবে মাইসছড়ি ইউনিয়নে কর্মসূচি সফল হয়। সেখানে ‘প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জ্য সম্পর্কে সতর্ক হই, নিজেদের বিপদমুক্ত করি’  স্লোগানে মাইসছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সমাবেশ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাইসছড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার গুনসিন্ধু চাকমা ও ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রিগ্যান চাকমা। কর্মসূচিতে স্থানীয় শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, প্রকৃতি ভালো থাকলে, তবেই গড়ে উঠবে স্বাস্থ্যকর বিশ্ব। এই সবুজ প্রকৃতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করাই এ দিবসের উপলক্ষ। উষ্ণায়ন গোটা বিশ্বকে এক কঠিন অবস্থায় দাঁড় করিয়েছে। বায়ু ও জল দূষন, মাটি দূষণ, খরা, বন্যা, বন্য প্রাণী বিলুপ্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদের হ্রাসের জেরে আজ আমরা ভয়ঙ্কর পরিণতির সন্মুখীন। তাই এসব পরিণতির হাত থেকে আমাদের নিজের ও বিশ্বকে রক্ষা করতে সচেতন হতে হবে।

তারা আরো বলেন, নদী-নালা, খাল-বিলে বা লোকজন সমাগমের জায়গায় বা পর্যটনে প্লাস্টিক, পলিথিন বর্জ্য বা প্লাস্টিক বোতল, কনটেইনার যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। বন জঙ্গল উজাড়কারীদের বাধা দিতে হবে। বিদেশি প্রজাতির গাছ সেগুন, রাবার ও ইউক্লিপটাস গাছ লাগানো বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটা, পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। সীমান্ত সড়ক নির্মাণের উছিলায় পাহাড় কাটা ও বন- জঙ্গল উজার করা বন্ধ করতে হবে। আমরা আমাদের ও আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে এবং বিশ্বকে নিরাপদ করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সাথে অন্যকে ও সচেতন করাতে হবে।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More