মহালছড়িতে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি, মহালছড়ি
সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার ২৪মাইল নামক এলাকায় উঃ মুনি জ্যোতি বৌদ্ধ বিহারের উদ্যোগে ১০ এপ্রিল হতে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৩দিন ব্যাপী এক বৌদ্ধ ধর্মীয় মেলার আয়োজন করা হয়। উক্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে ধর্মীয় আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ি জেলার সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম, মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম প্রমূখ। ওইদিন রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান চলাকালে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার লাবনী চাকমা পুলিশ বাহিনী দিয়ে অতর্কিতভাবে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে মেলায় বসানো দোকান পাট ভাংচুর ও লোকজনকে মারধরের অভিযোগ করেছেন বিহার অধ্যক্ষ উঃ মুনি জ্যেতি মহাথের। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, বার বার ইউএনও’র সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হলেও তিনি কোন সহযোগিতা দেননি বরং মিথ্যা ও নাটকীয়ভাবে জুয়ার আসরের কথা বলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দফায় দফায় হামলা করে বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হেনেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে রাত্রে ধর্মীয় যাত্রাপালা আয়োজন করে বিহার কর্তৃপক্ষ। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সুবাদে এক স্বার্থান্বেষী মহল জুয়ার আসর বসানোর চেষ্টা করে। ওই জুয়ারীদের ধাওয়া দিতে ইউএনও কয়েকবার অভিযান চালিয়ে জুয়ারিদের ছত্রভংগ করে দেন। ইউএনও’র শেষ পর্যায়ের অভিযানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে দিয়ে দোকানপাট ভাংচুর ও লোকজনকে মারধর করেন।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ইউএনও জুয়ারীদের ধাওয়া করে সচেতন মহলের কাছে যথেষ্ট প্রশংসিত হলেও শেষ পর্যায়ে অভিযান চালিয়ে মেলায় বসানো দোকানপাট ভাংচুর ও লোকজনকে মারধর করা উচিত হয়নি।
এ ব্যাপারে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার লাবনী চাকমা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে জুয়ার আসর বসানো কোন ধর্মীয় নীতিতে পড়েনা। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জুয়ার আসর যাতে বসানো না হয় সেজন্য মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্যচিংমিং চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট বিহারের অধ্যক্ষকে বার বার বিনীতভাবে অনুরোধ করার পরও জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। এতে পুলিশ ফোর্স নিয়ে বাঁধা দিতে গেলে জুয়ারীরা পালাতে গিয়ে দোকানপাটের কিছু ক্ষতি হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দোকানপাট ভাংচুর ও লোকজনকে মারধর করার প্রশ্ন ওঠেনা। বরং ঐ সময় জুয়ার আসর বন্ধ করে না দিলে যে কোন সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা ছিল। তাৎক্ষনিকভাবে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে আমার এ অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হই। আর এতে এক ধরণের স্বার্থান্বেষী মহল জুয়ার বোর্ড থেকে মোটা অংকের অবৈধ অর্থ উপার্জন করতে না পেরে আমার উপড় ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা প্রলাপ করে যাচ্ছে।