মহালছড়ির সিন্দুকছড়িতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১জন

0

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
Mohalchariখাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নে পক্ষীমুড়া ঠান্ডাছড়ি গ্রামে ময়ুত কুমার ত্রিপুরার স্ত্রী নেহারী ত্রিপুরা(৫৫) ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বেশীরভাগ বমি ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হওয়ার কারনে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ।

বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২টার সময় পর্যন্ত মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় ৫১জন ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২৫ জন রোগী। রোগীরা মহালছড়ি ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে খাবার স্যালাইনসহ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

ডায়রিয়া রোগী ও মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে হতে মহালছড়ি উপজেলার ধূমনীঘাট ও চৌংড়াছড়ি মগ পাড়া নামক গ্রাম হতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শুরু হতে থাকে। এরপর সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের পক্ষীমুড়া ঠান্ডাছড়ি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বৃষ্টি মৌসুমে হঠাৎ এ রোগের কারণ সম্পর্কে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেননি। তবে প্রাথমিকভাবে পানি বাহিত এ রোগের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন দায়িত্বে থাকা কর্ত্বব্যরত চিকিৎসকরা।

আক্রান্তদের মতে, পাহাড়ের জুম চাষের “গ্লাইফু সাইট” নামে ঘাস মারার বিষ প্রয়োগের ফলে বৃষ্টি পানিতে মিশে যাচ্ছে। ওই পানি পান করার ফলে এ রোগের আক্রান্ত হচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন ।

এই ব্যাপারে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: সৌমেন চাকমা জানান, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত এক গর্ভবতী মহিলাকে মহালছড়িতে গাইনী ডাক্তার না থাকায় খাগড়াছড়ি সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হঠাৎ এ রোগের কারণ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেননি। তবে প্রাথমিকভাবে পানি বাহিত এ রোগের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসক।

মহালছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আফতাবুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দিচ্ছে । তবে স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রশিক্ষনের থাকায় একটু সেবা দিতে বিঘ্ন ঘটছে ।

খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নারায়ন চন্দ্র দাশ জানান, মহালছড়ি উপজেলা ৩টি গ্রামে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে । আক্রান্ত এলাকা চিহিৃত করে মেডিকেল টিম গঠন করে পাঠানো হয়েছে ।
——————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More