মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনী কর্তৃক পিসিপি’র দুই নেতা আটক, পরে মুক্তি
জানা যায়, গতকাল সোমবার বান্দরবানে লামায় সেটলার বাঙালি কর্তৃক পাহাড়িদের উপর হামলা ও জুমঘর ভাংচুরের প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার বেলা ২টায় মাটিরাঙ্গা সদরে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করা হয়। মিছিল শেষে হাসপাতাল রোড এলাকায় সমাবেশ চলাকালে মাটিরাঙ্গা জোনের ক্যাপ্টেন ওয়াহিউল্লাহ’র নেতৃত্বে একদল সেনা সমাবেশ স্থলে গিয়ে সমাবেশ করতে বাধা দেয় এবং পিসিপি কর্মীদের কাছ থেকে ব্যানার কেড়ে নেয়। এ সময় প্রতিবাদ করলে সেনারা পিসিপি’র মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সহ সভাপতি শুভ চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে জোনে নিয়ে যায়। পরে নানা হয়রানি পর তাদেরকে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে মাটিরাঙ্গা জোন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি উমেশ চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা এক যুক্ত বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশ আয়োজন করা একটি সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। সেনাবাহিনী এই গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করে চলেছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী, অগণতান্ত্রিক এবং সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় সেনাবাহিনী কর্তৃক গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জোর দাবি জানান।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকালে গুইমারায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গুইমারা স্কুল গেট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে গুইমারা প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার অর্থ সম্পাদক অমল বিকাশ ত্রিপুরা ও গুইমারা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক চিত্র জ্যোতি চাকমা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা সেনাবাহিনী কর্তৃক সমাবেশের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ ও পিসিপি নেতাদের হয়রানির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা শাসন তুলে নেয়ার দাবি করেন।