মানিকছড়িতে ছাত্র-জনতার অবরোধে সেনাবাহিনীর হামলা ও দুই ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে মানিকছড়িতে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ার জ্বালায় পিকেটাররা।
মানিকছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর ও রাঙামাটিতে সেনা-সেটলার কর্তৃক পাহাড়িদের ওপর সেনা- সাম্প্রদায়িক হামলা, খুন-জখম, দোকান-ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বৌদ্ধ বিহার ভাঙচুরের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘন্টা অবরোধের আজ (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪) দ্বিতীয় দিন চলছে।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ছাত্র-জনতার অবরোধ পালনকালে সেনাবাহিনীর বাধা প্রদান ও হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় সেনারা দোকানে থাকা নিরীহ দুই নিরীহ ব্যক্তিকে মারধর করে।

জানা যায়, আজ সকাল ৬টা থেকে মানিকছড়ি উপজেলা সদরের ধর্মঘর, জামতলা, গবমারা, হাপছড়ি, কালাপানি এলাকায় ছাত্র-জনতা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করেন। অবরোধ পালনকালে মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে একদল সেনা সদস্য এসে অবরোধকারীদের বাধা দেয় ও লাঠিচার্জ করে। এ সময় সেনারা দোকানে থাকা দুইজন নিরীহ লোককেও মারধরে করে।
সেনাদের মারধরের শিকার হওয়া দু’জন হলেন- হ্লাচেউ মারমা (২৬), পিতা- মিতুশে মারমা , সিন্দুকছড়ি, গুইমারা ও তার ভাই হ্লাচাই মারমা (২৩)। তারা তিনটহরী বাজার থেকে মালামাল বিক্রি করে এসে সেখানে দোকানে নাস্তা করছিলেন।

মানিকছড়িতে সেনাবাহিনীর মারধরের শিকার হওয়া একজন।
ছাত্র নেতা অংহ্লাচিং মারমা সেনাবাহিনীর এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ওপর একের পর এক সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, ঘরবাড়ি-দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, বৌদ্ধ বিহার ভাঙচুর করা হয়েছে, গুলি করে, পিটিয়ে ৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং অসংখ্যা পাহাড়িকে আহত-জখম করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এসব ঘটনায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জাড়িত রয়েছে। আজকে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ অবরোধে হামলা-লাঠিচার্জ তারই প্রমাণ দেয়।
তিনি শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে সেনা হামলার প্রতিবাদে আজ মশাল মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন এবং সকল ছাত্র-জনতাকে এতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।