মানিকছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে পিসিপি-যুব ফোরামের বিক্ষোভ

0

মানিকছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ৩ জন সেটলার বাঙালি কর্তৃক এক পাহাড়ি কিশোরীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানিকছড়ি সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) এবং গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম(ডিওয়াইএফ)।

আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর ২০২৩) সকাল ১০টায় ‘নারীদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে এক হও, গণপ্রতিরোধ গড়ে তোল’ শ্লোগানে মানিকছড়ি উপজেলা সদরের ধর্মঘর এলাকা থেকে খাগড়াছড়ি – চট্টগ্রাম সড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আমতল প্রদক্ষিণ করে আবারো ধর্মঘরে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মানিকছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আতুসে মারমা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন  গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মানিকছড়ি উপজেলা সভাপতি অংচাই রোয়াজা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মানিকছড়ি উপজেলা সাবেক সভাপতি অংহ্লাচি মারমা।

সমাবেশে অংহ্লাচি মারমা বলেন, গত ২৫ অক্টোবর ভুক্তভোগী কিশোরী চট্টগ্রাম থেকে মানিকছড়ির চক্কিবিলের নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে গচ্ছাবিল বাজারে বাস থেকে নেমে বাড়ি উদেশে পায়ে হেঁটে যাওয়ার পথে লিচু বাগানে পৌঁছলে ৩ জন সেটেলার বাঙালি গলায় ছুরি ঠেকিয়ে তাকে জঙ্গলে নিয়ে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে । পরে এলাকায় জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা বরে। কিন্তু মামলার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো ধর্ষকদের গ্ৰেফতার করা হয়নি।

তিনি বলেন, শুধু মানিকছড়িতে নয়, একই দিন রাঙামাটির লংগদু উপজেলায়ও সেটলার কর্তৃক পাহাড়ি এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সেটেলার বাঙালি অনুপ্রবেশের পর থেকে ধর্ষণের মতো ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে।

তিনি এই ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে যাতে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করতে কেউ সাহস না পায় সেজন্য অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্ৰেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।  

অংচাই রোয়াজা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সেটেলার বাঙালি ও সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিনিয়তই ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেই চলেছে। জাতিগত নিপীড়নের অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা সংঘটিত করা হচ্ছে। যে সেনাবাহিনী নিরাপত্তার কথা বলে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত রয়েছে তারাই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে, তাদের দ্বারা আমাদের মা-বোন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। সেনা-সেটলারদের কারণে আমাদের পাহাড়ি মেয়েরা স্কুল-কলেজে, রাস্তা-ঘাটে কোথাও নিরাপদ নয়।

তিনি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি ধর্ষণকারীদের গ্ৰেফতার করা না হয় তাহলে প্রশাসনকে গণআন্দোলনে মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More