মানিকছড়ি ও গুইমারায় ৬টি বাড়িতে সেনাবাহিনীর হয়রানিমূলক তল্লাশি
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও গুইমারা উপজেলায় পৃথক পৃথকভাবে ৩টি গ্রামের ৬টি বাড়িতে সেনাবাহিনী হয়রানিমূলক তল্লাশি চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মানিকছড়ির মনাদং পাড়া, দক্ষিণ হাফছড়ি ও গুইমারা উপজেলার উত্তর হাফছড়ি গ্রামে এই তল্লাশি চালানো হয়।
যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় তারা হলেন- মনাদং পাড়ার চলা প্রু মারমার ছেলে অংসাউ মারমা (২৬), দক্ষিণ হাফছড়ি গ্রামের সুইচিং মারমা (৩৫) ও উত্তর হাফছড়ি গ্রামের বিধবা নারী মেমা মারমা (৪২), স্বামী-মৃত অংহ্লা প্রু মারমা, চালা প্রু মারমা (৪৫), মংপ্রুচাই মারমা (২৬) ও রানা মারমা (৪০)।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২টায় ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীদের খোঁজে মানিকছড়ি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল প্রথমে মনাদং পাড়ায় হানা দিয়ে অংসাউ মারমার বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং রাস্তায় সুইচিংনু মারমা (২০) ও নিচাইপ্রু মারমা(১৬)-কে ধরে ভয়ভীতি-হুমকি-ধামকি দিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। পরে তাদেরকে ছবি তুলে ছেড়ে দেয়। সেখানে অবৈধ কিছু না পেয়ে পরে সেনারা দক্ষিণ হাফছড়িতে হানা দেয় এবং সেখানে সুইচিং মারমার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানেও কিছু না পেয়ে শেষে উত্তর হাফছড়ি গ্রামে প্রবেশ করে মেমা মারমা, চালা প্রু মারমা, মংপ্রুচাই মারমা ও রানা মারমার বাড়িতে তল্লাশি করে। এসময় সেনারা রানা মারমার বাড়িতে লোকজন না থাকা সত্ত্বেও বাড়ির দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়।
তারা আরো জানান, তল্লাশির পরও অবৈধ কোন কিছু না পেয়ে চলে যাবার সময় সেনারা সন্ত্রাসী অখ্যাায়িত করে উত্তর হাপছড়ি গ্রামের মংপ্রুচাই মারমাকে আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে তার মা প্রতিরোধ করে এবং তাদের কাছ থেকে ছেলেকে ছিনিয়ে রাখে।
সেনাবাহিনীর এহেন হয়রানিমূলক আচরণে এলাকায় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এমন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।