মাল্যা গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে কুদুকছড়িতে স্মরণসভা

0


রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

“পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার চাই” শ্লোগানে লংগদু উপজেলায় মাল্যাতে সেটলার বাঙালি কর্তৃক গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে স্মরণসভা করেছে অগ্রণী শিশু কিশোর কেন্দ্র (এসিসি)। ১৯৯২ সালে এ গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল।

আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বেলা ১:০০টার সময় এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

স্মরণসভা শুরুর পূর্বে অগ্রণী শিশু কিশোর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মাল্যা গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

এরপর নিহতদের স্মরণ করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণসভা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মিলন চাকমার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শ্রদ্ধাপূর্ণা দেওয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন বুদ্ধদেবী চাকমা ও লক্ষী রানী চাকমা।

সভাপতির বক্তব্যে মিলন চাকমা বলেন, ১৯৯২ সালের আজকের এই দিনে লংগদু উপজেলার মাল্যা নামক স্থানে সেটলার বাঙালিরা হামলা চালিয়ে ৩০ জনের অধিক পাহাড়িকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বাংলাদেশে সরকার আসে, সরকার যায় কিন্তু পাহাড়ি মানুষের ভাগ্য বদলায় না। পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ পর্যন্ত ১৩টির অধিক গণহত্যা সংঘটিত হলেও কোনো সরকার এসব গণহত্যার বিচার করেনি। তাই আজকের এই স্মরণসভা থেকে আমরা মাল্যা গণহত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা-সেটলার কর্তৃক সংঘটিত সকল গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।

বুদ্ধদেবী চাকমা বলেন, আমাদের বয়স কম হলেও আমরা জানি পার্বত্য চট্টগ্রামে এক সময় কোন সেটলার বাঙালি ছিলো না। পাহাড়িদের ওপর দমন-পীড়ন ও তাদের জায়গা-জমি বেদখলসহ সংখ্যালঘু বানানোর জন্য সরকার ও সেনাবাহিনী এই সেটলার বাঙালিদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। এই সেটলার বাঙালিদের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি নেই। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে গণহত্যা, ভূমি বেদখল, নারী ধর্ষণসহ নানা অপরাধ কর্ম সংঘটিত করছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১৯৮০ সালে কাউখালীর কলমপতি গণহত্যার মধ্যে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটলার বাঙালি কর্তৃক ১৩টির অধিক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।

তিনি মাল্যা গণহত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটলার বাঙালি কর্তৃক সংঘটিত সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশপূর্বক বিচারের দাবি জানান।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More