‘যমুনা’ অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশী হামলার ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নিন্দা ও প্রতিবাদ

ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
জনমত উপেক্ষা করে গোপন চুক্তির মাধ্যমে বিদেশী কোম্পানী ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড’ কে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয় ভবন যমুনার অভিমুখে বিক্ষোভের ডাক দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্ট। এতে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ৪ নভেম্বর ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় প্রদক্ষিণ করে কাকড়াইল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে নেতাকর্মীরা সেখানে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে মিছিলের ওপর হামলা চালায়। এতে সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য কমরেড সীমা দত্তসহ অনেক নেতৃবৃন্দ আহত হয়েছেন। হামলায় আরও আহত হন গণতন্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক স্কাইয়া ইসলাম, ঢাকা নগর শাখার সংগঠক রাকিব মাহমুদ, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি জহরলাল রায়, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অন্তু অরিন্দম, খিলগাও থানা সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ রাফিন, কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য রাসেল আহমেদ (মাহির-শুভ), বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শোয়েইব আহমেদ আসিফ (মাহির-শুভ), কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রিজম ফকির (মাহির-শুভ) এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সহ-সভাপতি নেত্রী শাহিনুর সুমি, সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান রেহমান রাহাতসহ অনেকেই।

উক্ত হামলার ঘটনায় ছাত্র জোটের নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, “বিগত হাসিনা সরকারের আমলে দেশবিরোধী অনেক গোপন চুক্তি করা হয়েছিল যা জনগণকে জানতে দেওয়া হয়নি। নিজেদের শাসনকাল দীর্ঘমেয়াদী করতে আওয়ামী সরকার এ ধরনের গণবিরোধী কাজ করতো। এদেশের প্রতিবাদী জনগণ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছে তারা সাম্রাজ্যবাদী-আদিপত্যবাদী-সম্প্রসারণবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করে না। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তীতে ইউনুস সরকার জনগণকে অন্ধকারে রেখে নিউমুরিং টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার চক্রান্ত করছে। অত্যন্ত অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এবং তাড়াহুড়ো করে লালদিয়া এবং পানগাঁও বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এসব চুক্তির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি, ভূরাজনীতি এবং সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “হাসিনার সময়ে পুলিশের ভূমিকা যেরকম ছিল তার কোন পরিবর্তন হয়নি। তারা এখনো প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র অব্যহত রেখেছে। অবিলম্বে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।”
বিবৃতিতে সাক্ষর করেন- অমল ত্রিপুরা (সমন্বয়ক, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ও সভাপতি, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ), তামজিদ হায়দার চঞ্চল (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন), তাওফিকা প্রিয়া (সভাপতি, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন), দিলীপ রায় (সভাপতি, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী), সায়েদুল হক নিশান (সভাপতি, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল), সালমান সিদ্দিকী (সভাপতি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট)।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
