রাঙামাটিতে নারী সমাবেশ থেকে ফেরার পথে অধিকার কর্মীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির

0


ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

রাঙামাটির কাউখালিতে গতকাল (১২জুন ২০২৫) কল্পনা চাকমার অপহরণের ২৯ বছর উপলক্ষে চিহ্নিত অপহরণকারী লে. ফেরদৌস গংদের সাজার দাবিতে হিল উইমেন্স ফেডারেশন নারী সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ফেরার পথে কতিপয় সেটলার দৃর্বৃত্ত কর্তৃক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হন তিন অধিকারকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট নূজিয়া হাসিন রাশা, মারজিয়া প্রভা ও শিক্ষক অলিউর রহমান সান। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।

আজ শুক্রবার (১৩ জুন) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত আনু মুহাম্মদ, ডা. হারুন-অর-রশীদ, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা ও সীমা দত্ত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, “গতকাল ১২ জুন, রাঙামাটির কাউখালিতে কল্পনা চাকমার অপহরণের ২৯ বছর স্মরণে এবং অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে হিল উইমেন্স ফেডারেশন নারী সমাবেশ আয়োজন করে। সেখানে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মার্জিয়া প্রভা এবং ইউল্যাব-এর শিক্ষক অলিউর রহমান সান। সমাবেশ থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে তাদের উপর হামলা করে কতিপয় দুর্বৃত্ত। এই হামলার পূর্বে সমাবেশস্থলে আসা বিভিন্ন এলাকার বাসগুলোর বাঙালি ড্রাইভারদের তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এই হামলা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছে।”

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “জুলাই অভ্যুত্থানের মূল স্লোগান ছিল একটি বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জবাবদিহিতামূলক বাংলাদেশ। কিন্তু রাঙ্গামাটির এই ঘটনা প্রমাণ করে, সেই স্বপ্ন আজও অধরা। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার এবং মানবাধিকারের প্রশ্নে  রাষ্ট্রের উদাসীনতা ও আক্রমণাত্মক মনোভাব বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য শহীদদের আত্মদানের সাথে বেঈমানি ছাড়া আর কিছুই নয়। কিছুদিন আগে ঢাকায় আদিবাসীদের মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে যার কোন কার্যকর বিচার এখনও করা হয়নি। প্রতিনিয়ত নানা স্থানে  নারীসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর উপর পরিকল্পিত সংঘবদ্ধ আক্রমণ চলছে। এসব থামাতে রাষ্ট্রের উদাসীনতা অগণতান্ত্রিক শক্তির অপতৎপরতা বৃদ্ধিতে শক্তি যোগাচ্ছে।”

এতে বলা হয়, “গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি পক্ষ থেকে আমরা আবারও সুস্পষ্ট দাবী জানাই এসব হামলা নির্যাতন বন্ধ করে জড়িত প্রত্যেককে অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। রাষ্ট্রকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ভিন্নমত ও নাগরিক অধিকার  সুনিশ্চিত করতে প্রতিক্রিয়াশীল সব শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কল্পনা অপহরণসহ সকল খুন-গুমের বিচার সম্পন্ন করতে হবে।” 

বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা একইসাথে, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষ থেকে , দেশের সকল জনগোষ্ঠীর নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা নেবার আহ্বান জানাচ্ছি।”



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More