রাঙামাটির কুদুকছড়িতে এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হচ্ছে মাউরুম কলেজ

0

Mawroom College

রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটি সদর উপজেলার কুদুছড়িতে কুদুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ও পার্শ্ববতী সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের সার্বিক প্রচেষ্টা এবং এলাকাবাসীর স্বপ্রণোদিত স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিয়ে দ্রুত ঠাঁই দাঁড়িয়ে যাচ্ছে এলাকাবাসীর স্বপ্নের “মাউরুম কলেজ”। প্রায় ২ মাস আগে থেকে এ কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

৪নং কুদুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কানন চাকমা জনগণের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদককে জানান, কুদুকছড়ি ইউনিয়নটি রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন হলেও এখনো পর্যন্ত এই এলাকায় কোন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাছাড়া পার্শ্ববতী ইউনিয়ন ঘিলাছড়ি ও বুড়িঘাট এলাকায়ও এ পর্যায়ের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।

তিনি বলেন, এলাকায় বেশ কয়েকটি হাই স্কুল থাকলেও উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন কলেজ না থাকাতে ছাত্র/ছাত্রীদের মাধ্যমিক লেভেল শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাঙামাটি জেলা শহর অথবা বিভাগীয় শহর চট্টগ্রামে গিয়ে পড়াশুনা করতে হয়। সেখানে ভর্তি বা পড়াশুনার জন্য যে ব্যয় বহন করতে হয়, প্রায় অভিভাবকের সেই ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হয় না। বিধায় দেখা যায় প্রায় ছাত্র/ছাত্রীর মাধ্যমিক লেভেল থেকে পড়া-শুনার যবনিকাপাত ঘটে।

IMG_0793

আর তাছাড়াও যারা সচ্চল পরিবার তারা সে সমস্ত জায়গায় তাদের সন্তান/সন্ততিদের পড়াশুনা করাতে পারলেও বন্ধু-বান্ধবের খপ্পরে পড়ে যে কোন মুহুর্তে তারা বিপথগামী হতে পারে এ দূঃচিন্তায় থাকতে হয়। এ সমস্ত বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এলাকার বুদ্ধিজীবি, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীগণ সবাই এ এলাকায় একটি মান-সম্পন্ন কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। তাই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার আশায় না থেকে এলাকাবাসীর উত্তোলিত বাজেট এবং নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমে কুদুকছড়ি এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে মাউরুম কলেজ।

IMG_0742

তিনি আরো বলেন, শুরুর দিকে কলেজের অবকাঠামো সাধারণ হলেও শিক্ষার মান হবে যথেষ্ট উচ্চ ও গুণগতমানের এবং সেই লক্ষে শিক্ষক নিয়োগও সেভাবে করা হবে। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ হতে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার প্রত্যয়ে দ্রুত নির্মাণের কাজ করা শেষ করা হবে। এরই মধ্যে কলেজে পাঠ দানের স্বীকৃতিসহ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও শেষ করা হয়েছে।

উক্ত এলাকায় এই “মাউরুম কলেজ” প্রতিষ্ঠা হলে একদিকে যেমন ছাত্র/ছাত্রীদের মাধ্যমিক পর্যায় থেকে ঝরে  পড়ার হার কমে গিয়ে উচ্চ শিক্ষিতের হার বাড়বে, অপরদিকে অভিভাবকদেরও রাঙামাটি, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করার জন্য যে ব্যয় হয় তা অনেকটা সাশ্রয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
——————

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More