পার্বত্য চুক্তির অসারতা তুলে ধরে

রামগড়ে অগ্রণী শিশু-কিশোর কেন্দ্রের র‍্যালি ও সমাবেশ

0

পার্বত্য চুক্তির অসারতা তুলে ধরে রামগড়ে র‌্যালি ও সমাবেশ করে অগ্রণী শিশু-কিশোর কেন্দ্র। ২ ডিসেম্বর ২০২৪


রামগড় প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

খাগড়াছড়ির রামগড়ে আজ ২ ডিসেম্বর ২০২৪ সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অসারতা তুলে ধরে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে ‘অগ্রণী শিশু-কিশোর কেন্দ্র’ নামে একটি সংগঠন।

র‌্যালি ও সমাবেশের ব্যানার ক্যাপশনে লেখা ছিল, “ও সন্তু গো, আন্দোলনের কথা বলো, এক যে ছিল শান্তিচুক্তি, অনেক হলো”।

প্রথমে কয়েক শ’ শিশু, কিশোর-কিশোরীর অংশগ্রহণে রামগড় উপজেলার খাগড়াছড়ি – ঢাকা মহাসড়কে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে তারা সমাবেশ করেন।

পার্বত্য চুক্তির অসারতা তুলে ধরে রামগড়ে র‌্যালি ও সমাবেশ করে অগ্রণী শিশু-কিশোর কেন্দ্র। ২ ডিসেম্বর ২০২৪


এসময় তারা “CHT Accord is a dead letter; পার্বত্য চুক্তি কাগুজে দলিল ছাড়া কিছু নয়; আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ কর; পার্বত্য চুক্তি সরকারের হিমঘরে, তার আশা ছেড়ে দাও” ইত্যাদি শ্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

সমাবেশ লিটন চাকমার সভাপতিত্বে ও ধনু ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কলেজ ছাত্র শান্ত চাকমা ও নারী সমাজের প্রতিনিধি শর্মিলা চাকমা।


বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর আজকের এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে সন্তু লারমা যে চুক্তি করেছেন আজ ২৭ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। এ চুক্তির মাধ্যমে জুম্ম জনগণ হত্যা, ভূমি বেদখল, নিপীড়ন-নির্যাতন ছাড়া কোন সুফল পায়নি। অপরদিকে সন্তু লারমা ও জেএসএস সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে ৫০ হাজার টাকাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। সন্তু লারমা আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারে বসে জুম্ম জাতিকে ধ্বংস করে চলেছেন।


বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি জুম্ম জনগণের একটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সন্তু লারমা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন না করে অনির্বাচিত আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বসে থেকে শাসকগোষ্ঠির জুম্ম দিয়ে জুম্ম ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছেন। সন্তু লারমার এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুব সমাজসহ সকল জনগণকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

বক্তারা আরো বলেন, চুক্তির দীর্ঘ ২৭ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে বহু রক্তক্ষয় হয়েছে। জুম্ম জনগণ অপূরণীয় ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাই যে চুক্তি ২৭ বছরেও বাস্তবায়ন না হয়ে জনগণের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সে চুক্তির আশায় আমাদের আর বসে থাকলে হবে না। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সমাবেশ শেষে জুম্ম জনগণের সাথে প্রতারণা ও জাতি ধ্বংসের নীলনক্সা বাস্তবায়নের অভিযাগে শিশু-কিশোরসহ উপস্থিত লোকজন চুক্তি স্বাক্ষকারী পক্ষদ্বয়ের (শেখ হাসিনা ও সন্তু লারমা) কুশপুত্তলিকায় জুতাপেতা করেন, থুথু ছিটিয়ে নিন্দা-ঘৃণা জানান। পরে আগুন দিয়ে কুশপুত্তলিকা পোড়ান তারা।

শেখ হাসিনা ও সন্তু লারমার কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা করছে এক শিশু।

শেখ হাসিনা ও সন্তু লারমার কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা করছে উপস্থিত লোকজন।

আগুন দিয়ে পোড়ানো হয় শেখ হাসিনা ও সন্তু লারমার কুশপুত্তলিকা।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More