রামগড়ে সেনাবাহিনীর টহল, ড্রোন উড়ানোয় এলাকায় আতঙ্ক

0


রামগড় প্রতিনিধি সিএইচটি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫

খাগড়াছড়ির রামগড়ে সেনাবাহিনীর অব্যাহত টহল ও ড্রোন উড়ানোর ফলে এলাকার জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট ২০২৫) বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে বাটনাতরী ক্যাম্পের একদল সেনা সদস্য নিজস্ব গাড়িযোগে সুদুরখীল বাজার হয়ে নতুন বাজার অতিক্রম করে কালাপানি গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কালাপানি গ্রামের মসজিদের সামনে রাস্তা খারাপ থাকায় তারা গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে কালাপানি ও মরাকল্যা গ্রামে প্রবেশ করে টহল অভিযান চালায়। এ সময় কয়েক দফা ড্রোন উড়ানো হয় এবং সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই এলাকায় অবস্থান করে। ড্রোন উড়ানোর ফলে এলাকার জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। 

টহলের সময় মরাকল্যা গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দাকে সেনাসদস্যরা জানান যে, ‘তারা রাস্তার অবস্থা পরিদর্শনে এসেছে এবং শিগগিরই সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কার হবে।’

টহলের এক পর্যায়ে সেনাসদস্যরা এক বাঙালি নারীর কাছ থেকে এলাকায় সন্ত্রাসী উপস্থিতি, ইউপিডিএফের আস্তানা এবং স্থানীয় জনজীবন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তারা জানতে চান— ‘এখানে সন্ত্রাসীরা থাকে কিনা, কোন আধাপাকা ঘর আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা, বাঙালিদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় কিনা, কিংবা বাঙালিদের গাড়ি ভাঙচুর ও চাবি কেড়ে নেওয়া হয় কিনা।’

সেনাদের  প্রশ্নের জবাবে ওই নারী বলেন, “এখানে কোন সন্ত্রাসী থাকে না, বাঙালিদের আসতে বাধা দেওয়া হয় না, গাড়ি ভাঙচুর বা চাবি কেড়ে নেওয়ার ঘটনাও নেই। বর্ষাকালে রাস্তা খারাপ হওয়ায় কেউ আসেন না। মনে হয় ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।”

এ সময় সেনাসদস্যরা তার ফোন নম্বর নিতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমার বাড়িতে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। ফোন করলেও পাবেন না।’

পরে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সেনাসদস্যরা কালাপানি গ্রাম থেকে গাড়িতে উঠে নতুন বাজার, সদুরখীল বাজার হয়ে বাটনাতলী ক্যাম্পে ফিরে যায়।

অপরদিকে, কুমারী গ্রামেও সেনা টহল পরিচালিত হয়। বাটনাতুলি ক্যাম্প থেকে বের হওয়া অপর একটি সেনাদল বড়বেলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করে সেখান থেকে কুমারী পাড়া এলাকায় টহল দেয় এবং পরে আবার বিদ্যালয়ে ফিরে আসে।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বড়বেলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেনা সদস্যদের অবস্থান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের টহল ও অবস্থানকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More