রামগড়ে পাহাড়ি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ইউপিডিএফ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
 খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের জুমছড়া নামক গ্রামে সেটলার বাঙালি কর্তৃক এক পাহাড়ির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর রামগড় ইউনিটের প্রধান সংগঠক অপু ত্রিপুরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের জুমছড়া নামক গ্রামে সেটলার বাঙালি কর্তৃক এক পাহাড়ির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর রামগড় ইউনিটের প্রধান সংগঠক অপু ত্রিপুরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত মধ্যরাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় কর্নেল বাগান নামে একটি বাগানে গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ করে বাগানের চৌকিদার ফুল মিয়ার নেতৃত্বে একদল সেটলার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হৈ চৈ করতে করতে পাহাড়িদের গ্রামে হামলা করতে আসে। তারা প্রথমে বাগানের একটি খামার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এরপর তারা বাগানের পার্শ্ববর্তী শৈলেন্দ্র ত্রিপুরার বাড়িতে হামলা চালায় এবং বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। সেটলাররা শৈলেন্দ্র ত্রিপুরার স্ত্রী সবিতা ত্রিপুরাকেও বেদম মারধর করে। সেটলারদের দেয়া আগুনে শৈলেন্দ্র ত্রিপুরার বসতবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একই সময় সেটলাররা জুমছড়া গ্রামের বরেন্দ্র ত্রিপুরা(৪০) পিতা- সুরিয়া ত্রিপুরা ও পাশের মানিকচন্দ্র পাড়ার দেবেন্দ্র ত্রিপুরা(৫০), পিতা-বান্দারায় ত্রিপুরা ও নিতাই ত্রিপুরা(৪৫), পিতা- কুনচন্দ্র ত্রিপুরা নামে তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। এর মধ্যে বরেন্দ্র ত্রিপুরা ও দেবেন্দ্র ত্রিপুরাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার কথা জানা গেলেও নিতাই ত্রিপুরার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, রামগড় এলাকায় বিভিন্ন কোম্পানী ও ব্যক্তির নামে পাহাড়িদের ভোগদখলীয় হাজার হাজার একর জায়গা বেদখলের মাধ্যমে পাহাড়িদের নিজ জায়গা ও বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ জায়গা বেদখল করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে শৈলেন্দ্র ত্রিপুরার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ সহ এ হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি অবিলম্বে শৈলেন্দ্র ত্রিপুরার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার, সেটলার কর্তৃক পাহাড়িদের ভোগদখলীয় জায়গা বেদখল বন্ধ করা, ক্ষতিগ্রস্ত শৈলেন্দ্র ত্রিপুরাকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া, পুলিশের হাতে সোপর্দকৃত বরেন্দ্র ত্রিপুরা ও দেবেন্দ্র ত্রিপুরার নিঃশর্ত মুক্তি এবং নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারের জোর দাবি জানান।
