লংগদুতে আর্যগিরি বনবিহারের জায়গা বেদখল করে সেটলার কর্তৃক ঘর নির্মাণের অভিযোগ

রাঙামাটি ।। রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ডানে আটরকছড়া এলাকার আর্যগিরি বনবিহারের জায়গা বেদখল করে সেখানে সেটলার বাঙালিরা বাড়িঘর নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে আর্যগিরি বনবিহার পরিচালনা কমিটি।
আজ রবিবার (১১ জুলাই ২০২১) সন্ধ্যার দিকে সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক প্রেস বার্তায় তারা এ অভিযোগ করেন।
আর্যগিরি বন বিহার এলাকাটি ডানে আটরক ছড়া এলাকার ৪০০ শতাধিক পরিবারের শত শত বছর ধরে ভোগদখলীয় জমি উল্লেখ করে প্রেসবার্তায় বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিরাজমান পরিস্থতির কারণে ১৯৭৯ সালে এবং ১৯৮৯ সালে লংগদু উপজেলার মানুষ সকলেই গৃহহীন ও উদ্বাস্তু হই। এছাড়াও অসংখ্যবার বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। ২০১০-১১ সালে অত্র এলাকার জনগণ জমিটি আর্যগিরি বনবিহারের নামে দান করেন এবং গৌতম বুদ্ধের অনুসারী হিসেবে জমিতে একটি পবিত্র বিহার স্থাপন করা হয়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, ২০১৫-১৬ সালে কিছু সংখ্যক বহিরাগত বাঙালি ২৩ একর জমি বেদখল করে হাতিয়ে নিয়েছে। সার্বিক পরিস্থতি অনুকূলে না থাকায় বাধ্য হয়ে বিহার পরিচালনা কমিটি ও ভিক্ষু সংঘ বাধ্য হয়ে নীরবতায় থাকতে হয়েছে। বিগত ২০২০ সালের শেষ দিকে আবারো কয়েক পরিবার বহিরাগত বাঙালি বিহারের জমি বেদখলের জন্য সৃজন করা গাছ, বাঁশ, ফলজ গাছসহ কেটে চুরি করে নিয়ে যায় এবং বিহারের জমিতে রাতারাতি ঘর তোলে। বিষয়টি বিহারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিকট অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোন সমাধান পাইনি।

এতে আরও বলা হয়, গত ০৯/০৭/২০২১ তারিখে আমরা বিহারের জন্য ১৫টি সীমানা পিলার দিয়ে থাকি। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কে বা কাহারা সেগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের নিটক মৌখিকভাবে অবগত করি।
এ বিষয়ে যাতে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি না হয় তার জন্য প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয় প্রেস বার্তায়।

উল্লেখ্য, বিহারের বেদখলকৃত জায়গা ফেরত পেতে ও পুন: বেদখল বন্ধের দাবি জানিয়ে বিহার পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী গত ২৭ মে ২০২১ রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।