লক্ষীছড়ির যতীন্দ্র কার্বারি পাড়ায় সেনা তল্লাশি

লক্ষীছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলার ১নং লক্ষীছড়ি ইউনিয়নের যতীন্দ্র কার্বারি পাড়ায় ঠ্যাঙাড়ে মোত্তালেব বাহিনীর সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে সেনাবাহিনী গ্রামবাসীদের ঘরবাড়িতে হয়রানিমূলক তল্লাশি চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর ২০২৫) ভোররাত ৩টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ তল্লাশি চালানো হয়।
জানা যায়, লক্ষীছড়ি সেনা জোন থেকে ৬টি গাড়িযোগে ৬২ জনের একটি সেনা দল যতীন্দ্র কার্বারি পাড়ায় হানা দেয়। এরপর সেনারা তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে তল্লাশি শুরু করে। এতে ১ম ও ২য় গ্রুপটি তল্লাশি চালায় ও ৩য় গ্রুপটি যতীন্দ্র কার্বারি পাড়ার দোকান এলাকা সম্পূর্ণ ঘিরে রাখে, যাতে মানুষ এদিক ওদিক যেতে না পারে।
প্রথম গ্রুপটি সুরেশ চাকমার বাড়ির দিকে যায়। ২য় গ্রুপটি বুদ্ধ চাকমার বাড়িতে হানা দেয় এবং তল্লাশি চালায়। এ সময় সেনারা বাড়ির লোকজনকে গালিগালাজ করে এবং “অস্ত্র কই” বলে জিজ্ঞাসা করে। তল্লাশি চালিয়ে বাড়ির জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। তবে তারা অবৈধ কোন কিছু তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করতে পারেনি।
পরে সেনারা একই গ্রামের বাসিন্দা দেবেন্দ্র চাকমা, লঙ্গ চাকমা ও হরি চাকমার বাড়িতেও ব্যাপক তল্লাশি চালায় এবং একইভাবে বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে ‘সন্ত্রাসী কই’ বলে জিজ্ঞাসা করে।
তল্লাশি শেষে ১ম ও ২য় গ্রুপটি দোকান এলাকায় মেইন রোডে আসে। এরপর সবাই একত্রিত হয়ে গাড়িতে করে লক্ষীছড়ি জোনে চলে যায়।
চলে যাবার সময় সেনারা বাত্য চাকমা (৫০), পিতা- মৃত বাজন্য চাকমা ও রিমান্টু চাকমা (১৮), পিতা- কিনা বিন্দু চাকমাকে বেঁধে কিছুদূর নিয়ে যাওয়ার পর ছেড়ে দেয়।
সেনা সদস্যদের সাথে আসা তিন জন ঠ্যাঙাড়ে মোত্তালেব বাহিনীর সদস্যের মধ্যে ২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ১. উৎপল চাকমা (৩৩), পিতা-শশী ভূষণ চাকমা, গ্রাম-মানিকছড়ি, ২নং ফটিকছড়ি ইউপি, কাউখালী, রাঙামাটি; ২. দূর্জয় চাকমা (৩০), পিতা-হাঙারু চাকমা, গ্রাম- থাল্যাপাড়া, লক্ষীছড়ি ইউপি, খাগড়াছড়ি। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সেনাদের এমন তল্লাশি-হয়রানির কারণে এলাকার জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে এ ধরনের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।