শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি পিসিপি-যুব ফোরামের শ্রদ্ধা নিবেদন

0

একাত্তরে মুক্তিবাহিনী কর্তৃক পাহাড়ে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দাবি

ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ’৭১ সালে পাক হানাদারদের হাতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)।

আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার সকালে ঢাকায় মিরপুর-১ এ অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় এক টিভি সাংবাদিককে দেয়া সাক্ষাতকাারে পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পদাক অমল ত্রিপুরা একাত্তরে পার্বত্য চট্টগ্রামে খাগড়াছড়ির কুকিছড়া-বাঙ্গালকাটি-তারাবন্যা এলাকায় মুক্তিবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান।

পাহাড়ে সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙ্গে দাও, ৭১-এ কুকিছড়া-বাঙ্গালকাটি-তারাবন্যা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে নব্য পাক হানাদার দোসরদের শায়েস্তা করুন” এই শ্লোগানে এবং “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা” লেখা ব্যানারে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় মিরপুর-১ এ অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, অর্থ সম্পাদক সম্পাদক নরেশ ত্রিপুরা ও সদস্য অমিত চাকমাসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে যমুনা টেলিভিশনের এক সাংবাদিককে দেয়া এক সাক্ষাতকারে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ১৯৭১ সালে এইদিনে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক এদেশে লেখক, গবেষক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে ‘৭১-এর এই দিনে অনেক বুদ্ধিজীবীকে বাছাই করে হত্যা করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামেও এই দিনে মুক্তিবাহিনী কর্তৃক পাহাড়িদের ওপর গণহত্যা সংঘটিত করা হয়েছে।


তিনি আরো বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তীতে দেশে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিস্থিতি আগের মতোই রয়েছে। সেখানে সেনাশাসন চলছে। আগের মতো সেখানে হত্যা, গুম, খুন, গ্রেফতারসহ বিভিন্নভাবে পাহাড়িদের ওপর নিপীড়ন চলছে। সেনাবাহিনী, সেটলার ও সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের দিয়ে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটনো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, দেশে কিছুটা হলেও ’৭১-এ বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচার হচ্ছে। আমরা আশা করছি মুক্তিবাহিনী কর্তৃক পাহাড়িদের ওপর সংঘটিত গণহত্যারও বিচার হবে।

এ সময় তিনি সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙ্গে দেয়া এবং শেখ হাসিনার আমলে পাহাড়ে সংঘটিত সকল হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি জানান।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More