সাজেকে সন্তু গ্রুপ কর্তৃক অপহৃত ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে এবং এক কার্বারীকে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

0


সাজেক প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের রাঙাপানিছড়া গ্রাম থেকে জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক অপহৃত ৬ গ্রামবাসীর মুক্তির দাবিতে এবং জামপাড়া গ্রামের কার্বারীকে শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সাজেকের মাচলংয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ ও সাজেক গণ অধিকার রক্ষা কমিটি।

আজ শনিবার (১২ জুলাই ২০২৫) সকাল ৯টার সময় মাচলং হরি মন্দির এলাকা থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে মাচলং বাজার প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে সাজেক গণ অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ আলো চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাজেক গণ অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্র-জনতার সংগ্ৰাম পরিষদের সহসভাপতি বাবু ধন চাকমা এবং ৩৬ নং সাজেকে ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জপ্পৈইথাং ত্রিপুরা। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সীমা চাকমা।


সমাবেশে ইউপি সদস্য জপ্পৈইথাং ত্রিপুরা বলেন, আমরা জানি এই অপহরণ কে করেছে। কিন্তু জেএসএসের আধিপত্য বিস্তারের জন্য সাধারণ জনগণকে এভাাবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া, মুক্তিপণ আদায় করা ও নির্যাতন করা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু আজকে নয়, আগেও আমরা এভাবে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা দেখেছি। আমরা চাই এ ধরনের ঘটনার অবসান হোক এবং অবিলম্বে অপহৃত ৬ গ্রামবাসীকে সুস্থ শরীরে মুক্তি দেয়া হোক।


বিদ্যুৎ আলো চাকমা বলেন, জেএসএস কর্তৃক অপহরণের ঘটনাটি শুনে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল কখনো এভাবে নিজের জাতি ভাইকে অপহরণ ও নির্যাতন করতে পারে না। তাদের যদি কোন দোষও থেকে থাকে তাহলেও এভাবে আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া একটি পুরোনো রাজনৈতিক দল জেএসএস থেকে আমরা আশা করি না।

তিনি অপহৃত ব্যক্তিদের সুস্থ শরীরে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই জেএসএস সন্তু গ্রুপের বিক্রম চাকমার নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাজেক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রাঙাপানিছড়া গ্রাম থেকে ধনমুনি চাকমা (১৯), সুকেশ চাকমা (২২), লক্ষী শান্তি চাকমা (৩৫), ৪. ভাঙ্গাহাদা চাকমা(৩৫), ৫. শন বিকাশ চাকমা (৩৬), ও হুল্ল্যা চাকমা (২২) এই ৬ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের মুক্তির জন্য সন্ত্রাসীরা ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।

এছাড়া সন্ত্রাসীরা একই গ্রামের বাসিন্দা নিগিরি চাকমা ও মঞ্জুগুলো চাকমাকেও ধরে নিয়ে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের পর ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়।

অপরদিকে, সন্ত্রাসীরা গতকাল (১১ জুলাই) জামপাড়া গ্রামের কার্বারি অলেন্দ্র ত্রিপুরা (৪৯) ও একই গ্রামের বাসিন্দা ফলেন ত্রিপুরা (৪৫)-কে শারিরীক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ উঠেছে।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More