সিএইচটি রেগুলেশন বাতিলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও কর্মসূচিতে যোগদানের আহ্বান ইউপিডিএফ’র

0

সিএইচটি নিউজ ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও এ নিয়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

আজ ১৬ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার ইউপিডিএফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইউপিডিএফের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে:

* ১৮ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার

গণ সমাবেশ, খাগড়াছড়ি জেলা সদর।

* ১৯ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার

সমাবেশ, চট্টগ্রাম মহানগর

* ২২ জুলাই ২০২৪, সোমবার

অবস্থান ধর্মঘট, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে

 * নীচে ইউপিডিএফের ফেসবুক পেজে প্রচারিত পোস্টটি হুবহু দেওয়া হলো:

 পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান

সংগ্রামী সুধী,

আপনারা জানেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বহিরাগত বাঙালিদের একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশের উচ্চ আদালতকে ব্যবহার করে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন বা শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণে এই রেগুলেশনের ভাগ্য এখন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সুক্ষ্ণ সূতোয় ঝুলছে।

বস্তুতঃ ২০০৩ সাল থেকে এই রেগুলেশন বাতিলের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সে সময় দুটি মামলায় সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে একটি “মৃত আইন” বলে ঘোষণা করেছিল। মামলা দু’টির একটি হলো রাঙ্গামাটি ফুড প্রডাক্টস বনাম কমিশনার অফ কাস্টমস ও অন্যান্যদের মধ্যে এবং অপরটি ওয়াগ্গাছড়া টি স্টেট লিমিটেড বনাম মুহাম্মদ আবু তাহের ও অন্যান্যরা। তবে হাইকোর্টের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০১৭ সালে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ হাই কোর্টের উক্ত রায়কে খারিজ করেন এবং ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে সম্পূর্ণ বৈধ ও কার্যকর আইন বলে রায় দেন।

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের পরও ষড়যন্ত্রকারীরা বসে থাকেনি। তারা ২০১৮ সালে খাগড়াছড়ির জনৈক অখ্যাত সেটলারকে দিয়ে আপিল বিভাগের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে। (Civil Review Petition No. 192 of 2018). আগামী ২৩ জুলাই এই রিভিউ পিটিশনের ওপর শুনানী হওয়ার কথা রয়েছে।

 রিভিউ পিটিশন ষড়যন্ত্রমূলক
এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, রিভিউ পিটিশন দাখিলকারী সেটলার ব্যক্তি উপরোল্লেখিত দু’টি মামলায় কোন পক্ষ নন এবং তিনি প্রকৃতপক্ষে উক্ত দুই মামলা সম্পর্কে অবগত ছিলেন বলে মনে হয় না। কাজেই আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে তাকে দিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার বিষয়টি যে ষড়যন্ত্রমূলক তা অত্যন্ত স্পষ্ট।

এখানে আরও একটি লক্ষ্যণীয় গুরুত্বপূর্ণ  বিষয় হলো, সেটলারদের এই ষড়যন্ত্রের সাথে সামিল হয়েছেন স্বয়ং এটর্নি জেনারেল। উপরে যে দু’টি মামলার কথা বলা হয়েছে, সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে রক্ষার জন্য ২০০৩ সালের হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলকারী পক্ষের মধ্যে রাষ্ট্র বা সরকারও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাজেই সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এটর্নি জেনারেল রিভিউ পিটিশনের শুনানীর সময় আপিল বিভাগের উক্ত রায়ের পক্ষে অর্থাৎ পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনের পক্ষে অবস্থান নেবেন সেটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু তিনি সেটা না করে এবং অনেক মহলের অনুরোধ উপেক্ষা করে ২০২২ সালের ২৬ জুলাই আপিল বিভাগের উক্ত রায় সংশোধনের জন্য আদালতে একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেন, যা কার্যত পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে অকার্যকর বা বাতিলের আবেদন করার নামান্তর। আপিল বিভাগের উক্ত রায় থেকে “রাজা” ও “আদিবাসী” এই দু’টি শব্দ এবং “প্রথাগত আইন” সম্পর্কিত বাক্য, বাক্যাংশ ও অনুচ্ছেদ বাদ দেয়ার জন্য ছিল এটর্নি জেনারেলের এই পিটিশন।

তার আবেদন মোতাবেক আপিল বিভাগের রায় থেকে শব্দ, বাক্য, বাক্যাংশ ও অনুচ্ছেদ বাদ দেয়া হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন কার্যত একটি মৃত আইনে পরিণত হবে। আপিল বিভাগের উক্ত রায়ের কেবল খোলসটা থাকবে, ভেতরের নাড়িভুড়ি অর্থাৎ মূল বিষয়গুলো আর থাকবে না। ফলে সিএইচটি রেগুলেশন তখন কেবল নামে থাকবে, বাস্তবে তার কোন কার্যকারীতা থাকবে না।

পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন কী?
সংক্ষেপে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন হলো বৃটিশ আমলে প্রবর্তিত একটি আইন, যা ১৯০০ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে বলবৎ হয়। এই আইনে ভূমি, রাজস্ব ও বিচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনের ক্ষেত্রে পাহাডিদের কিছু অধিকার স্বীকার করা হয়। এছাড়া এই রেগুলেশনের মাধ্যমে বৃটিশ কর্তৃপক্ষ বহিরাগতদের পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাধ প্রবেশ ও জমি ক্রয়ের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করে। এর ফলে পাহাড়িরা সে সময় বহিরাগতদের হাত থেকে নিজেদের জমি ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে সক্ষম হয়।

কিন্তু ভারতসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বৃ্টিশ রাজত্ব অবসানের পর প্রথমে পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশ ও জমি কেনার ওপর বিধি-নিষেধ উঠে যায় এবং পাহাড়িদের একটির পর একটি অধিকার খর্ব হতে থাকে। বর্তমানে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনে পাহাড়িদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে যৎসামান্য অধিকার বাকি রয়েছে, তাও উচ্চ আদালতকে ব্যবহার করে কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র ও চেষ্টা চলছে। আর এতে যে আওয়ামী লীগ সরকারেরও যোগ সাজশ রয়েছে তা এটর্নি জেনারেলের পিটিশনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে।

সিএইচটি রেগুলেশন বাতিলের ফলাফল
পাহাড়িদের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ফল হবে অত্যন্ত নেতিবাচক ও সূদুরপ্রসারী। নিচে এ বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।

১) বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত শাসন কাজে পাহাড়ি জনগণের কোন কার্যকর ক্ষমতা ও অংশগ্রহণ না থাকলেও, পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনের মাধ্যমে তারা কিছু অধিকার এখনও ভোগ করছে। যেমন রাজা প্রথার মাধ্যমে নিজেদের ঐতিহ্য রক্ষা, রাজাদের স্থায়ী বাসিন্দার সনদ প্রদানের ক্ষমতা, হেডম্যানের মাধ্যমে ভূমির ওপর যৎসামান্য নিয়ন্ত্রণ, পাহাড়িদের নিজস্ব প্রথা ও রীতিনীতির স্বীকৃতি ইত্যাদি। পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন বাতিল করা হলে কিংবা এটর্নি জেনারেলের আবেদন মোতাবেক আপিল বিভাগের উপরোক্ত রায় থেকে শব্দ, বাক্য, বাক্যাংশ ও অনুচ্ছেদ বাদ দেয়া হলে পাহাড়িদের এসব অধিকার ও ক্ষমতা আর থাকবে না।

২) পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন বাতিল কিংবা এটর্নি জেনারেলের আবেদন মোতাবেক আপিল বিভাগের উপরোক্ত রায় থেকে শব্দ, বাক্য, বাক্যাংশ ও অনুচ্ছেদ বাদ দেয়া হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও বিরাট সমস্যা সৃষ্টি হবে। কারণ ২০০১ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনে “পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী” ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলা হলেও, উচ্চ আদালতের রায় তখন বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

৩) বর্তমানে আইন মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের “উপজাতীয় রীতিনীতি, প্রথা ইত্যাদি এবং সামাজিক বিচার সমন্বয় ও তত্ত্বাবধান” করার এবং জেলা পরিষদসমূহের “উপজাতীয় রীতিনীতি অনুসারে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও উপজাতীয় বিষয়ক বিরোধের বিচার” করার ক্ষমতা রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতে এটর্নি জেনারেলের আবেদন গ্রাহ্য হলে পরিষদসমূহের এই ক্ষমতা আর থাকবে না।

এছাড়া ২০০৩ সালের ৩৮ নং আইন বলে সংশোধিত পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনের ৮(৪) ধারা মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট জেলার প্রচলিত আইন, রীতি ও প্রথা অনুসারে দেওয়ানি মামলার বিচার করা তিন পার্বত্য জেলার আদালতসমূহের জন্য বাধ্যতামূলক। সিএইচটি রেগুলেশন বাতিল কিংবা এটর্নি জেনারেলের আবেদন গ্রাহ্য হলে, তিন জেলা আদালতের সেই বাধ্যবাধকতা আর থাকবে না। তখন পাহাড়িরা আদালত থেকে আর সুবিচার নয়, অবিচারই পাবেন।

৪) পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে মৃত আইন হিসেবে ঘোষণা করা হলে রাজা, হেডম্যান ও কার্বারিদের আর কোন অস্তিত্ব থাকবে না। পাহাড়িদের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য  ও সংস্কৃতি মুছে যাবে। অপরদিকে রেগুলেশনকে সম্পূর্ণ বাতিল না করে নামেমাত্র বজায় রেখে এটর্নি জেনারেলের আবেদন মোতাবেক উপরোল্লেখিত দু’টি মামলায় দেয়া আপিল বিভাগের রায় থেকে পাহাড়িদের রীতি বা প্রথা সম্পর্কিত বাক্য, বাক্যাংশ ও অনুচ্ছেদ বাদ দেয়া হলে রাজা, হেডম্যান ও কার্বারিদের কার্যত আর কোন ক্ষমতা থাকবে না।

৫) পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০-এর কারণে এই অঞ্চলের প্রশাসনিক ব্যবস্থা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত। এই রেগুলেশন বাতিল কিংবা অকার্যকর করা হলে সেই স্বতন্ত্র মর্যাদা আর থাকবে না।

ষড়যন্ত্র রুখতে হবে
আদালতের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্র পাহাড়ি জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব বিলুপ্ত করে দেয়ার সার্বিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই শাসকগোষ্ঠীর এই ষড়যন্ত্র চলে আসছে। ১৯৭২ সালের সংবিধানে পাহাড়িদের জন্য কোন রক্ষাকবচ রাখা হয়নি এবং তাদের জাতিসত্তারও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭২ সালের সংবিধানের মতো পাহাড়ি জাতিগুলোর ওপর আবার বাঙালি জাতীয়তা আরোপ করা হয়েছে, যা তাদের জন্য চরম অপমানজনক।

সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে পাহাড়িদের অধিকার হরণের পাশাপাশি তাদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চলতে থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক সামরিকায়ন ও কয়েক লক্ষ বাঙালি সেটলার নিয়ে আসা হয়। পার্বত্য চুক্তির আগে ও পরে কয়েক ডজন গণহত্যা চালানো হয়, হাজার হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়, নারীদের ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করা হয়। এছাড়া হাজার হাজার পাহাড়িকে উচ্ছেদ ও তাদের জমি কেড়ে নেয়া হয়। এই প্রক্রিয়া এখনও জারী রয়েছে। বান্দরবানে বম জনগোষ্ঠীকে নির্বংশ করতে যৌথ বাহিনীর চলমান সামরিক অভিযান তার সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত। মোট কথা, অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে বর্তমানে পাহাড়িদের জাতীয় অস্তিত্ব অনেক বেশি হুমকির সম্মুখীন।

এই অবস্থায় ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করা ছাড়া আমাদর সামনে আর অন্য কোন পথ খোলা নেই। তাই আসুন:

উচ্চ আদালতের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দিন –

১৮ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার

গণ সমাবেশ, খাগড়াছড়ি জেলা সদর।

১৯ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার

সমাবেশ, চট্টগ্রাম মহানগর

২২ জুলাই ২০২৪, সোমবার

অবস্থান ধর্মঘট, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে

আওয়াজ তুলুন:

১) সিএইচটি রেগুলেশন বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধ কর

২) এটর্নি জেনারেলকে অপসারণ কর

৩) পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল কর

৪) পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাও

ধন্যবাদ।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)

————————————————

ইউপিডিএফ কর্তৃক প্রচারিত। ১৬ জুলাই ২০২৪।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More