সেনাবাহিনী কর্তৃক নান্যাচরে যাওয়া প্রতিনিধি দলকে বাধা দেয়ায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের নিন্দা
চট্টগ্রাম : জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল পূর্ব-৩ (“চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রাম’) সভাপতি এডভোকেট ভুলন ভৌমিক ও সদস্য সচিব এডভোকেট আমীর আব্বাস এক যুক্ত বিবৃতিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নান্যাচর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমাকে সেনা জোনে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনার তদন্ত করার জন্য ঢাকা থেকে নান্যাচর যাওয়া প্রতিনিধি দলকে বাধা দেয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁরা অবিলম্বে এই হত্যার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবী করেন এবং দায়ী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি করেন।
উল্লেখ্য আজ ২৫ এপ্রিল রমেল চাকমাকে সেনা জোনে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি প্রতিনিধি দল গতকাল সোমবার ঢাকা থেকে রওনা দেয় এবং আজ মঙ্গলবার সকালে নান্যাচর পৌঁছেন। নাট্যকার ও কবি হাসান ফকরী -এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, এডভোকেট রকিব পারভেজ, হিউম্যান রাইটস এক্টিভিস্ট মোহাম্মদ হাসান ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি পারভেজ লেনিন।
প্রতিনিধি দলটি নান্যাচর উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নান্যাচর কলেজের শিক্ষক, গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শহীদ রমেল চাকমার সহপাঠি এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে দশটার দিকে নান্যাচর পৌঁছলে স্থানীয় সেনা জোন কর্তৃপক্ষ তাঁদেরকে নান্যাচর ত্যাগে বাধ্য করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ঘটনা আবার দেখালো পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ বা আইন নয়, বরং সেনাবাহিনীর স্বেচ্ছাচারীতা আর শাসন চলছে।
সমগ্র ঘটনায় প্রশাসনের যে নিস্ক্রিয় ভূমিকা দেখা গেল, তাতে এটা পরিস্কার যে সেনাবাহিনীই নির্ধারণ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসন কিভাবে চলবে। বাংলাদেশের একটি অঞ্চলে এইধরণের অগণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাচারী সেনাশাসন অবিলম্বে তুলে নিতে হবে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।
————————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।