কাউখালীতে মুখোশ কর্তৃক অপহৃত দুই ব্যক্তি দশ ঘন্টা পর মুক্ত

কাউখালী প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
এলাকার জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের প্রবল চাপের মুখে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদপুষ্ট নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীরা কাউখালী বাজার থেকে অপহৃত শুদ্ধোধন চাকমা ও সুশান্ত চাকমাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
আজ রবিবার (৩০ মার্চ ২০২৫) বিকাল ৪টার দিকে রাঙামাটির কাউখালী সদরের কাউখালী আইডিয়াল কেজি স্কুল ও টিএনও বাসভবনের মাঝের সড়কে সেনাবাহিনীর ৭/৮ জনের একদল সদস্য তাদেরকে ঘাগড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শশী রঞ্জন চাকমার জিম্মায় তুলে দেন।
এসময় ৩নং ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন, ২নং ফটিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঊষাতন চাকমা, ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার কিরণ চাকমা, অপহৃতদের স্বজন, ডিজিএফআইয়ের কয়েকজন সদস্য এবং বাজারে আসা লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আজ ভোর ৬টায় কাউখালী বাজার থেকে প্রকাশ্যে নব্য মুখোশ সদস্য কনক চাকমার (কালাচুলো) নেতৃত্বে তিন জন সন্ত্রাসী তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় সময় শুদ্ধোধন চাকমা কলা বিক্রি করছিলেন এবং জীপ গাড়ীর শ্রমিক সুশান্ত চাকমা গাড়ী থেকে মালামাল নামাচ্ছিলেন।
ভুক্তভোগী শুদ্ধোধন চাকমা ঘাগড়া ইউনিয়নের পানছড়ি গ্রামের জয় কুমার চাকমা ছেলে এবং সুশান্ত চাকমা একই গ্রামের নিবারণ চাকমার ছেলে।
জানা গেছে, অপহরণের পর পরই সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ঘাগড়ার চম্পাতলী আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
তবে অপহরণকারী বা সেনাবাহিনী তাদেরকে কোন নির্যাতন করেনি এবং দুপুরে তাদেরকে ভাতও খেতে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ অপহরণ ঘটনায় আজ সকালে সিএইচটি নিউজে একটি খবর প্রকাশিত হয় এবং পরে ঘটনাটি ব্যাপকভাবে জানাজানি হয়।
এদিকে, নিরীহ দুই গ্রামবাসীকে অপহরণের ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার লোকজন জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে থানার ওসি, টিএনও, ডিসি ও সেনাবাহিনীর উপর অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য চাপ দেন। তারাও নিজেরাও অপহৃতের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে দেন।
পরে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের চাপের মুখে তাদেরকে ঘাগড়ার চাম্পাতলী আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনা প্রহরায় দেওয়ান পাড়ার কার্বারী সূর্যমুনি চাকমার মাধ্যমে কাউখালী সদরে নিয়ে এসে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে ছাত্র জনতার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও ২নং ফটিকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ঊষাতন চাকমা বলেন, “কাল মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈদ। আর ১০/১২ দিন পরেই পাহাড়ের প্রধান উৎসব বৈ-সা-বি শুরু হতে যাচ্ছে। উৎসবের আমেজে এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।”
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।