রাঙামাটি এসপি সাঈদ তারিকুল হাসানের শাস্তি হবে তো?
।। পারদর্শী।।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) সাঈদ তারিকুল হাসান গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮) দুপুরে বিলাইছড়িতে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার দুই মারমা তরুণীর ছবিসহ তাদের নাম, পরিচয় এমনকি তাদের মা-বাবার নাম নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। একজন আইনের লোক তথা জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ পদবী ধারী হিসেবে তিনি কি জানেন না যে যৌন নির্যাতনের শিকার কোনও নারীর ছবি প্রকাশ করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আইনে বলা আছে, ‘অপরাধের শিকার হয়েছেন এমন নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা এসম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোনও সংবাদপত্রে বা অন্যকোনও সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাবে, যাতে উক্ত নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়।’ আইনে আরও বলা হয়, ‘এই বিধান লঙ্ঘন করা হলে দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে অনধিক দুই বছর কারাদণ্ডে বা অনুর্ধ্ব একলাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।’
এসপি সাঈদ তারিকুল হাসান তো সাধারণ কোন ব্যক্তি নন। তিনি রাঙামাটি জেলার পুলিশের সর্বোচ্চ পদে আসীন। তিনি যে না জেনে এই কাণ্ডটি করেছেন তা একজন পাগলও বিশ্বাস করবে না। মুলত তিনি জেনেবুঝেই এ কাজটি করেছেন।

তার এ কাজটি করার প্রধান উদ্দেশ্য হতে পারে তার ক্ষমতার জায়েজ করা। কারণ ওই দুই বোনকে চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন ও রাজা দেবাশীষ রায় তাদের হেফাজতে নিয়ে নিরাপদে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটার বিপরীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ রাণীকে লাঞ্ছিত করে রাতের আঁধারে হাসপাতালের বাতি নিভিয়ে দুই বোনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নিয়ে গেছে।
আর একটি কারণ হতে পারে আইন যেহেতু তাদের হাতে সেহেতু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো যে, তিনি ইচ্ছা করলে যা খুশি তাই করতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ নান মহলে ব্যাপক সমালোচনা উঠার পর তিনি ছবিসহ ঐ স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নিলেও কোনভাবেই তিনি অপরাধ থেকে রেহাই পেতে পারেন না। তিনি আইনের দৃষ্টিতে দণ্ডণীয় অপরাধই করেছেন। এখন প্রশ্ন হলো এই অনৈতিক কাজের জন্য তার শাস্তি হবে তো? #
[মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখাগুলো লেখকের নিজস্ব মতামতই প্রতিফলিত]
——————
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্রউল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।