বগাছড়িতে সেনা-সেটলার হামলার ৪ বছর
রাঙামাটি : আজ ১৬ই ডিসেম্বর রাঙামাটির নান্যাচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের বগাছড়িতে পাহাড়ি গ্রামে সেনা-সেটলার হামলার ৪ বছর পূর্ণ হলো। ২০১৪ সালের এই দিনে বগাছড়ি, সুরিদাশ পাড়া, নবীন তালুকদার পাড়ায় পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট করে বিজয় উৎসব করেছিল সেনাবাহিনী ও সেটলার বাঙালিরা।
সেদিন সকাল ৭টা থেকে সেনা-সেটলাররা পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। একে একে তিনটি গ্রামে পাহাড়িদের ৬০টির অধিক বাড়ি-দোকান পুড়ে ছাই করে দেয়। এছাড়া সেটলাররা স্থানীয় বৌদ্ধ বিহার জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে এবং বিহারে ঢুকে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে মারধর ও বুদ্ধ মূর্তি লুট করে।

এ হামলার আজ চার বছর পূর্ণ হলেও বিচার হয়নি হামলাকারী সেনা-সেটলারদের। তারা রয়েছে এখনো বহাল তবিয়তেই। ফলে পাহাড়িরা এখনো আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অপরদিকে সেনা-প্রশাসনের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগীতায় সেটলার বাঙালিরা প্রতিনিয়ত পাহাড়িদের ভোগদখলীয় জায়গা-জমি বেদখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
শুধু বগাছড়ি হামলা নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত যত হত্যাকাণ্ড ও সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে তার কোনটিরই বিচার হয়নি। উপরন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন, ভূমি বেদখলের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চুক্তিপূর্বে পাহাড়িদের উপর যেভাবে নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো হয়েছিল, বর্তমানেও আরো বেশি মাত্রায় নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো হচ্ছে। অন্যায় ধরপাকড়, রাত-বিরাতে ঘরবাড়িতে তল্লাশি যেন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষও।
——————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।