নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
গতকাল, ৩০ ডিসেম্বর, রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মোঃ ইব্রাহিম জরিপ ছাড়া পার্বত্যাঞ্চলের ভূমি সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউপিডিএফ। সংগঠনের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক শান্তি দেব চাকমা আজ ৩১ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে রাঙামাটিতে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোঃ ইব্রাহিমের বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করে বলেছেন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির আগে ভূমি জরিপের কাজ চলতে পারে না, কারণ এতে সমস্যা আরো বেশী জটিল হবে।
তিনি বলেন, জিয়া ও এরশাদ সরকারের আমলে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা সেটলারদের বেদখলকে বৈধতা দেয়ার জন্য ভূমি জরিপের দাবি তোলা হচ্ছে। সেটলারদেরকে দেয়া অবৈধ ভূমি বন্দোবস্ত বাতিল ও বেদখলকৃত জমি প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি নিষ্পত্তি সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং বলেন, “সরকার বা ভূমি কমিশন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন -২০০১ এর ৬ (গ) ধারা মোতাবেক সেটলারদেরকে দেয়া এই অবৈধ ভূমি বন্দোবস্ত বাতিল করতে পারে।”
ইউপিডিএফ নেতা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে জেনারেল ইব্রাহীমের বিচার ও শাস্তি দাবি করে বলেন, তার অধিনায়কত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়নের মাত্রা চরমে পৌঁছেছিল, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে ও গণহত্যা সংঘটিত করে পাহাড়িদেরকে নিজ জায়গা-জমি থেকে উত্খাত করে সেখানে সেটলারদের বসিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং ৬০ হাজার পাহাড়ি ভারতে আশ্রয় নিয়ে ১২ বছর মানবেতর শরণার্থীর জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছিল।
জেনারেল ইব্রাহিমকে তিনি স্বৈরাচারী ফৌজি শাসক এরশাদের দোসর আখ্যায়িত করে বলেন, এদের কারণেই বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে ও পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি,স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন ব্যহত হয়েছে।ভবিষ্যতে দেশে যাতে আর কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে ও পার্বত্য চট্টগ্রামে জুলুম নির্যাতন চালাতে না পারে তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে।