বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামায় অতিমাত্রায় লোডশেডিং ও লো ভোল্টেজের কারণে তীব্র গরমে অতিষ্ট সময় পার করছে উপজেলাবাসী। বৈশাখের উত্তপ্ত সূর্যের অগ্নিছটা, তার উপর ঘন্টায় ত্রিশবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দিনে পর দিন। লোডশেডিং যেন নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময় যত যাচ্ছে অতিষ্ট জনতা ততই ফুঁসে উঠছে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
বিদ্যুতের লোডশেডিং-এর কারণে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও অফিস আদালতে কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসায় বেফাস গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, উপজেলার ওয়াফদা বিদ্যুতের ৭১০৮ গ্রাহক যাবে কোথায়?
এলাকাবাসী জনান, উপজেলায় একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে দীর্ঘ সময় পর এলেও কিছুক্ষণ পর আবার চলে যায়। গত ১ মাস ধরে ঘন্টায় ৩০-৪০বার বারের মত লোডশেডিং করে আসলেও মাসের শেষে বিলে দেখা যায়, আগেরমত অথবা তারও বেশি। ২৪ ঘন্টায় একটানা ২০ মিনিটও বিদ্যুৎ থাকেনা। এছাড়া যে কয় মিনিট বিদ্যুৎ থাকে তাতেও নিভু নিভু অবস্থা। লো ভোল্টেজের কারণে বাসা বাড়ির ফ্রিজ টেলিভিশন ফ্যানসহ বিদ্যুৎ চালিত জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বাজারে অধিকাংশ ব্যবসায়ী জানায়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং দিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে ওয়াফদা বিদ্যুৎ অফিস। আর বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ঘন ঘন লোডশেডিং করলেও মাসের শেষে বিল দেখা যায় অন্যমাসের চেয়ে দ্বিগুণ।এর ব্যাখ্যায় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে জানিয়েছেন লোডশোর্ডিং করলে মিটার রিডিং বেড়ে যায়।
এদিকে লামা বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির অভিযোগ করে অনেকে জানায়, চকরিয়া থেকে লামার জন্য যে পরিমান বিদ্যুৎ বরাদ্দ রয়েছে, তা পাচ্ছেনা লামাবাসী। এর কারণ হিসেবে স্থানীয়রা লামা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ নজরে না নিলে, যে কোনো সময়ে বিদ্যুৎ প্রাপ্তির ন্যায্য দাবীতে আন্দোলনে নামতে পারে লামাবাসী।
—————
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।