খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥ খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায় তথাকথিত পর্যটন জোন গঠনের নামে আরো ৭০০ একর জমি বেদখল করার সরকারী ষড়যন্ত্রের খবর পাওয়া গেছে।
একটি সূত্রে জানা যায়, সরকার পানছড়ি উপজেলাধীন ২৪৭ নং জুগলছড়ি মৌজায় ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার ১৮২ নং তৈলেবাং মৌজায় আনুমানিক ৭০০ একর জমিতে পর্যটন জোন গঠনের পরিকল্পনা করছে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে জুগলছড়ি মৌজার জিরানী হোলা মারমা পাড়া ও সিংচা পাড়া এবং তৈলেবাং মৌজার কাটারায় পাড়া এই তিনটি গ্রামের ৫৭টি পরিবার উচ্ছেদের শিকার হবেন। এই পাহাড়ি পরিবারগুলোর মধ্যে ৩৫ পরিবার মারমা, ১৫ পরিবার ত্রিপুরা ও ৭ পরিবার চাকমা।
সরকারের পরিকল্পনা কতদূর অগ্রসর হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ইউপিডিএফ নেতা সচিব চাকমা মনে করেন, সরকার সেটলারদের দিয়ে ১৯৮০ ও ১৯৯০ দশকের মতো বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়ে যেভাবে পুরো ফেনী-তবলছড়ি অঞ্চলসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা বেদখল করে নিয়েছিল বর্তমানে সেভাবে আর পাহাড়িদের জমি বেদখল করার সুযোগ নেই। তাই সরকার পাহাড়িদের উৎখাত করে তাদের জমিজমা কেড়ে নিতে নতুন কৌশল হিসেবে পর্যটনকে বেছে নিয়েছে।
তিনি অবিলম্বে পর্যটন জোন গঠনের নামে পাহাড়ি উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন জোন নয়, সমতলে অর্থনৈতিক জোন গঠন করে সেখানে সেটলারদের পুনর্বাসন করুন। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি আসবে এবং দেশেরও উন্নয়ন হবে।’
——————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।