রাঙামাটি: সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি-নীতি তোয়াক্কা না করে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি ছাড়াই সেনাবাহিনী কর্তৃক নান্যাচর কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রনেতা রমেল চাকমার মরদেহ পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রমেল চাকমা হত্যা প্রতিবাদ কমিটি ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)।
রমেল চাকমা হত্যা প্রতিবাদ কমিটির আহ্বায়ক সুনন্দা তালুকদার ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর সভাপতি বিনয়ন চাকমা আজ শনিবার, ২২ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, গত ৫ এপ্রিল নান্যাচর সেনা জানের মেজর তানভীর-এর নেতৃত্বে রমেল চাকমাকে আটকের পর মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতনের ফলেই রমেল চাকমার মৃত্যু হয়েছে। সেনাবাহিনীর কড়া নজরদারিতে পুলিশের প্রহরায় দুই সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।
বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রমেল চাকমার মরদেহটি বাড়ির উদ্দেশ্যে আনা হলে রাত ৮টার সময় বুড়িঘাট বাজার এলাকা থেকে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে সেনাবাহিনী মরদেহটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং শুক্রবার দুপুরে সামাজিক, ধমীয় রীতি-নীতি তোয়াক্কা না করে, পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি ছাড়াই পেট্রোল ঢেলে মরদেহটি পুড়িয়ে ফেলে। লাশ গুম করতে ব্যর্থ হয়েই তারা লাশটি পুড়িয়ে ফেলে আলামত নষ্ট করেছে বলে নেতৃদ্বয় অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক রমেল চাকমার হত্যাকারী নান্যাচর জোন কমা-ার বাহালুল আলম, মেজর তানভীরসহ জড়িত সেনা সদস্যদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, রমেল চাকমার পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারপূর্বক সেনা শাসন অবসানের দাবি জানান।
———————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।