রাঙামাটি : দু’দিনের একটানা প্রবল বর্ষণে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ১১৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থান থেকে ১০৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখানে আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক। বিধস্ত হয়েছে ব্যাপক ঘরবাড়ি। অনেকে এখনো নিঁখোজ রয়েছেন। এছাড়া বান্দরবানে ৬ জন ও খাগড়াছড়িতে ১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পাহাড়ধসে এই ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। রাঙামাটি শহরের ভেদভেদি, রাঙ্গাপানি, যুব উন্নয়ন, টিভি স্টেশন, রেডিও স্টেশন, রিজার্ভ বাজার, মোনঘর, শিমুলতলি, তবলছড়ি, সাপছড়ি এলাকায় এবং কাউখালী, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়িতে এই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। গতকাল দিনভর রাঙামাটির বিভিন্ন স্থান থেকে ৯৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার রাঙামাটির ভেদভেদি ও যুব উন্নয়ন এলাকা থেকে আরও আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ভেদভেদি থেকে পন্থি সোনা চাকমা (৩৫) ও তার মেয়ে সান্ত্বনা চাকমা(৯) সহ পাঁচজন ও যুব উন্নয়ন এলাকা থেকে একই পরিবারের ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। এরা হলেন রুপালি চাকমা ও তার দুই মেয়ে জুঁই চাকমা (১২) ও ঝুমঝুমি চাকমা (৭)। এ নিয়ে রাঙামাটিতে উদ্ধারকৃত লাশের সংখ্যা ৯৮ থেকে বেড়ে ১০৬-এ পৌঁছেছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে পরিমল চাকমা নামে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা পরিমল চাকমার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া পাহাড় ধসে আহত আরো বেশ কয়েকজনকে লক্ষ্মীছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে একজনকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এছাড়াও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২১ জন ও চন্দনাইশে ৩ জন পাহাড় ধসে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
—————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।