চট্টগ্রাম : খাগড়াছড়িতে সেনাসৃষ্ট মুখোশবাহিনীর গুলিতে নিহত ইউপিডিএফ-এর অন্যতম সংগঠক শহীদ মিঠুন চাকমা’র স্মরণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে স্মরণসভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেছে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।
গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি ২০১৮) বিকেল ৩.৩০টায় নগরীর ইপিজেড থানাধীন নিউমুরিং এলাকায় ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম বন্দর ও ইপিজেড থানা শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
সভার শুরুতে নিপীড়িত জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিহত মিঠুন চাকমাসহ সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বন্দর শাখার সভাপতি ক্লান্তময় চাকমার সভাপতিত্বে ও জিকু চাকমার সঞ্চালনায় উক্ত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুকৃতি চাকমা, জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের এসিংমং মার্মা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল-এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতা সামিউল আলম, চবি ছাত্র নেতা সোহেল চাকমাসহ সামাজিক নেতৃবৃন্দ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম নগরের যুব নেতা শুভ চাক্, পিসিপি নগর শাখার সভাপতি পলাশ চাকমা।
স্মরণ সভায় শহীদ মিঠুন চাকমাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নেতা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, মিঠুন চাকমা শুধু পার্বত্য চ্ট্টগ্রামে নিপীড়িত পাহাড়ি ও সমতলের সংখ্যালঘু এবং শ্রমিক-মেহনতি জনগণের জন্য লড়াই করেন নি, তিনি দক্ষিণ এশিয়াসহ সমগ্র বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের পক্ষে হয়েও লড়াই করেছেন। তার রাজনৈতিক বিচরণ শুধু রাজপথে সীমাবদ্ধ ছিলনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ব্লগেও নিপীড়িত জনগণের কথা লিখতেন, শাসক-শ্রেণীর অন্যায়-অবিচার-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন। তার প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে চিরতরে রোধ করার জন্য শাসক শ্রেণী নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
বক্তারা শহীদ মিঠুন চাকমার আদর্শকে ধারণ করে তার অবাস্তবায়িত স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। স্মরনসভা শেষে সন্ধ্যা ৬টায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।
——————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।
