খাগড়াছড়ি॥ গত মঙ্গলবার নানিয়াচর বেতছড়ির মেজর পাড়ায় অস্ত্রসহ আর্মিদের কাছে আশ্রয় নেয়া জেএসএস সংস্কারবাদী গ্রুপের সদস্য পরাণ চাকমাকে এখনো খাগড়াছড়ি ব্রিগেডে রাখা হয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে একটি গোপন ও বিশ্ব সূত্রে জানা গেছে।
সেনাদের কাছে আশ্রয় নেয়ার সময় তার হাতে একটি বন্দুক ও ১১৩ রাউন্ড তাজা গুলি ছিল। বন্দুকটি এম ফোর – কারবাইন (M – 4 Carbine) টাইপের। বন্দুকটির গায়ে একটি নম্বর রয়েছে, সেটি হলো 320461/US।
ঐ বন্দুকটি মুখোশ সর্দার তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা তাকে দেয়ার জন্য ব্রিগেড কমান্ডারের কাছে আবদার করছে।
বর্মা-আর্মি-পেলে গোপন বৈঠক
অপর একটি সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাতে নব্য মুখোশ বাহিনীর সর্দার, কুখ্যাত সন্ত্রাসী, খুনী ও বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী তপন জ্যোতি চাকমা নান্যাচর থেকে খাগড়াছড়ি যায়।
সে সেখানে পৌঁছলে রাতে খাগড়াছড়ি ব্রিগেডের এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও জেএসএস সংস্কারবাদী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক তাতিন্দ্র লাল চাকমা ওরফে পেলেসহ তারা তিনজনে একসাথে একটি গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকটি বসে খাগড়াছড়িতে একজন চেয়ারম্যানের বাসায়।
তবে কোন চেয়ারম্যানের বাসায় তা সূত্রটি নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি। তবে তার ধারণা বাসাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা অথবা মহালছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রজ্ঞান খীসা একির হতে পারে।
উক্ত গোপন বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে সে বিষয়েও বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সেনা কর্মকর্তাটি কুদুকছড়ি হামলা ও দুই এইচডব্লিউএফ নেত্রীকে অপহরণের জন্য বর্মাকে কংগ্রেচুলেট করেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
অপরদিকে বর্মা বন্দুকটি তাকে দেয়ার জন্য আবদার করেছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সংস্কারবাদী জেএসএস-এর সদস্য পরাণ চাকমা (২৩) দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে আর্মিদের কাছে আশ্রয় নেয়। এরপর তাকে নান্যাচর থেকে খাগড়াছড়ি ব্রিগেডে নেয়া হয়।
বিস্তারিত জানতে দেখুন:
>> আর্মি হেফাজতে অস্ত্রসহ যুবকটি কোথায়?
—————–
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।