খাগড়াছড়ি : মন্টি-দয়াসোনা’র অপহরণকারী সন্ত্রাসী তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা ও গডফাদার শক্তিমান চাকমা হত্যাকাণ্ডে হী রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা ও অন্যান্য নেতাকর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ও অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ মে ২০১৮) বেলা দেড়টায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভরের ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নারাঙহিয়া রেড স্কোয়ার হয়ে উপজেলা গেইট প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে গিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রতন স্মৃতি চাকমা প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, শাসকগোষ্ঠি তার কায়েমী স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে গত ৩ ও ৪ মে নান্যাচরে তার নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে দিয়ে শক্তিমান চাকমা ও নব্য মুখোশ বাহিনী সর্দার তপন জ্যোতি চাকমা (বর্মা)সহ ৬ জনকে হত্যা করে তার দায় ষড়য়ন্ত্রমূলকভাবে ইউপিডিএফ’র ওপর চাপাচ্ছে। যা খুবই নিন্দনীয়।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শক্তিমান ও বর্মারা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় ছিল উল্লেখ করে তারা বলেন, কতিপয় পাকিস্তানপন্থী সেনা কর্মকর্তা তাদেরকে দিয়ে মিঠুন চাকমাসহ ইউপিডিএফ’র ১০ নেতা-কর্মী-সমর্থককে খুন, এইচডব্লিউএফ-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে অপহরণ করিয়েছে। এর আগে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিলাইছড়িতে দুই মারমা কিশোরীকে ধর্ষণ-যৌন নির্যাতন ও চাকমা রানীর ওপর হামলা করেছে। এসব ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শক্তিমান ও বর্মা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মিথ্যাভাবে ইউপিডিএফকে জড়াচ্ছে। ইউপিডিএফ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসা ও সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমাসহ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের নেতৃত্বকে ধ্বংস করার লক্ষে এই সরকার ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের ষড়যন্ত্রের ফলে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত গুম-খুন-হত্যা-অপহরণের মত ঘটনা অহরহ ঘটছে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলা দিয়ে দমানোর চেষ্টা করছে। ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী ছাড়াও শুভাকাঙ্খী-সমর্থক ও সাধারণ জনগণকেও নানাভাাবে হয়রানি করা হচ্ছে। যৌথবাহিনী অভিযানের নামে নিরীহ জনগণের ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত এ সকল ঘটনায় সরকার ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী কিছুতেই দায় এড়াতে পারে না উল্লেখ করে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
বক্তারা অবিলম্বে ইউপিডিএফ ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং যৌথবাহিনীর অভিযানের নামে সাধারণ জনগণের ওপর হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
——————-
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।