
মহালছড়ি প্রতিনিধি ।। খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও নবনির্মিত মহালছড়ি হতে সিন্দুকছড়ি-জালিয়া পাড়া রাস্তার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে ৪০০ পরিবার বাঙালি সেটলার পুনর্বাসনের পাঁয়তারা চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে পর্যটন স্পট নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানা গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় পাহাড়িদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিশেষ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ইতোমধ্যে মহালছড়ি সেনা জোন কর্তৃপক্ষ ৪০০ বাঙালি পরিবারের তালিকা তৈরি করেছে। যার মধ্যে নবনির্মিত মহালছড়ি হতে সিন্দুকছড়ি-জালিয়া পাড়া রাস্তার পাশ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে ৩০০ পরিবার, মহালছড়ির মুবাছড়ি ইউনিয়নের খুল্যাং পাড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৫০ পরিবার ও মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের চংড়াছড়ি গ্রামে ৫০ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
অপরদিকে, গত ২২ মে ২০২১, শনিবার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মহালছড়ি পরিদর্শনে আসেন। তিনি উপজেলার ধুমুনীঘাট চাদারা (যেখানে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী পূজা-অর্চনা করে থাকেন) ও মহালছড়ি থেকে সিন্দুকছড়ি-জালিয়া পড়া রাস্তা পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সাথে স্থানীয় ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিভিন্ন স্থানে সেটলার পুনর্বাসন ও পর্যটন নির্মাণের খবরে স্থানীয় পাহাড়িদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে স্থানীয় এলাকার জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সেটলার বাঙালি পুনর্বাসন ও পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের যে পরিকল্পনার কথা আমরা জানতে পারছি তা যদি সত্যি হয় তাহলে আমরা আতঙ্কিত না হয়ে পারছি না। কারণ অতীতে সেটলার পুনর্বাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করে জায়গা-জমি বেদখল করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয়েছে পাহাড়িরা’।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যদি পাহাড়িদের ভূমি বেদখল করার চেষ্টা করা হয় তাহলে এলাকার জনগণ তা কখনো মেনে নেবে না, রক্ত দিয়ে হলেও তারা নিজেদের ভূমি রক্ষা করবে’।
তারা অবিলম্বে এমন ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।