ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

সাভারে রানা প্লাজা ধসের ১০ম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডব্লিউডিএফ) ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ)।
আজ ২৪ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার সকাল ৯টায় সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ইউডব্লিউডিএফের সহ সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা। অপরদিকে পৃথকভাবে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন টাফের সভাপতি ফয়জুল হাকিম ও সদস হেমন্ত দাস প্রমুখ। এছাড়া আরো বিভিন্ন সংগঠনও নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডব্লিউডিএফ)-এর যৌথ উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি ফয়জুল হাকিম, ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডব্লিউডিএফ)-এর সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা ১০ বছরেরও রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সমাবেশ থেকে বক্তারা ২৪ এপ্রিল শ্রমিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা, শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার ও নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, কর্মস্থলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক গুম হাওয়া শ্রমিক নেতা মাইকেল চাকমাকে ফিরিয়ে দেওয়া, নারী শ্রমিকদের বেতন সমেত ৬ মাসের মাতৃকালীন ছুটি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। এতে নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি। তবে প্রায় ১৭ দিনের উদ্ধার অভিযানে ধসে পড়া ভবন থেকে ১,১৩৬ জন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। আর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল ২,৪৩৮ জন শ্রমিককে।
উক্ত ভবনটির মালিক ছিলেন তৎকালীন সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা। সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই ছিল নয়তলা রানা প্লাজা ভবনটি। এতে ভূগর্ভস্থ তলায় গাড়ি রাখার জায়গা। এর প্রথম তলায় ছিল ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়।দ্বিতীয় তলার বিপণিকেন্দ্রে বহু দোকান ছিল। তৃতীয় থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত ছিল গার্মেন্টস কারখানা। গার্মেন্টস কারখানায় প্রায় ৫০০০ এর মত কর্মী কাজ করত।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন