সিএইচটিনিউজ.কম ডেস্ক:
বান্দরবানের লামা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ছায়াদানকারী ৫৬টি গাছ কাটার সিদ্ধান্তে বিচারিক হাকিমের আদালত ও এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গাছগুলো কাটা হলে উপজেলা পরিষদ ও আদালতে আসা লোকজনের আশ্রয় নেওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না বলে উপজেলাবাসী জানিয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহামঞ্চদ ইসমাইল পরিষদ প্রাঙ্গণের গাছ কাটার ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন্নাহার বলেছেন, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তে পরিষদ ভবন, সীমানাদেয়াল ও বিদ্যুৎলাইনের জন্য ক্ষতিকর গাছগুলো যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গণে অবস্থিত বিচারিক হাকিমের আদালতসংলগ্ন গাছ কাটার সময় বিচারিক হাকিম গাছ না কাটতে মৌখিক নির্দেশ দেন। গাছ কাটার ঠিকাদার আলাউদ্দিন বলেছেন, বিচারিক হাকিম তাঁকে ডেকে পাঠান এবং কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে গাছ কাটার ব্যাপারে জানতে চান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ঠিকাদার আলাউদ্দিনকে ডেকে পাঠানোর বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন্নাহার সুমী আদালত প্রাঙ্গণে এসে উপজেলা পরিষদের জায়গার গাছ পরিষদের সিদ্ধান্তে কাটলে বাধা দেওয়ার কারও অধিকার নেই দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
লামার ইউএনও শামসুন্নাহার সুমী বলেছেন, পরিষদের জায়গার ওপর হওয়ায় গাছগুলো কাটার জন্য পরিষদ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সৌজন্যে: প্রথম আলো