বিশেষ প্রতিবেন
পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রতি একের পর এক সেটলার বাঙালী কর্তৃক পাহাড়ি নারী ধর্ষিত হওয়ায় পাহাড়ের মানুষ উদ্বিগ্ন। শুধু ধর্ষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ধর্ষণের পর হত্যা করা হচ্ছে। সম্প্রতি কমল ছড়ি’র সবিতা চাকমা ও ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নের করল্যাছড়ি হেডম্যান পাড়ার ভারতী চাকমাকে গণ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে মানিকছড়িতে এক মারমা কিশোরী ও গত ৪ এপ্রিল লক্ষীছড়িতে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এসব ঘটনায় মানিকছড়ি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম এর সহযোগীতায় মারমা কিশোরীকে ধর্ষণকারী ৩ ধর্ষককে গ্রেফতার করা হলেও অপরাপর ঘটনায় জড়িতরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। সবিতা চাকমা ও ভারতী চাকমার হত্যাকারীদের পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে, ভারতী চাকমার ধর্ষক ও হত্যাকারীদের বাঁচাতে সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ গত ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন আটকিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এই বাঙালী ছাত্র পরিষদ যা চাচ্ছে তা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটলার বাঙালীরা অন্যায় করলেও তাদের বিরুদ্ধে দোষ চাপানো যাবেনা। তারা পাহাড়ি নারীদেরকে ইচ্ছেমতো ধর্ষণ করবে আর পাহাড়িরা চুপচাপ চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে। কোন প্রতিবাদ করা যাবেনা । প্রতিবাদ করতে গেলে সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হতে হবে পাহাড়িদের। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
অপরদিকে, লক্ষীছড়িতে বাক প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণ করে লোক দেখানো শালিস ডেকে দোষীদের দু’য়েক ঘা’ বেত্রাঘাত করে সমাধান দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। কি সুন্দর সমাধান !! অথচ অপরাধীরা চিহ্নিত হলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। এসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার আবারো বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ি’র ঘুমধুমে অস্ত্রের মুখে এক পাহাড়ি গৃহবধু অপহরণের শিকার হয়েছে। তাকে উদ্ধার করা গেছে কিনা তা আজ পর্যন্ত জানা যায় নি। এই গৃহবধুর ভাগ্যও সবিতা কিংবা ভারতী চাকমার মতো হবে না তো?