কাউখালীতে মারমা তরুণীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা

খাগড়াছড়িতে শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের বাধা।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
রাঙামাটির কাউখালীতে মারমা তরুণীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশ বাধা দিয়েছে।
আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল ২০২৫) বিকালে য়ংড বৌদ্ধ বিহার এলাকা থেকে ‘খাগড়াছড়ি সচেতন ছাত্রসমাজ’ এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাপলা চত্ত্বর যেতে চাইলে পানখাইয়া পাড়া সড়কের মোড়ে মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় সড়কে খালি পিকআপ আড়াআড়ি করে রাখতে দেখা যায়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মিছিল যাতে যেতে না পারে সেজন্য খালি পিকআপ সড়কে আড়াআড়ি করে রাখে পুলিশ।
এরপর পুলিশের সাথে বাগবিতণ্ডার পর সেখানেই সড়কের ওপর তারা সমাবেশ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থী চম্পা মারমা বলেন, “মারমা তরুণীকে যে ধর্ষণ করেছে আমরা তার বিচার চাইছি। আপনারা ধর্ষককে গ্রেপ্তার না করে আমাদের প্রতিবাদ মিছিলে বাধা দিচ্ছেন। আমরা এদেশের নাগরিক কিন্তু আমরা সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছি না। আমরা ধর্ষক ফাহিমের কঠিন শাস্তি চাই।”

কবিতা চাকমা বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা কারণে বাধা দিয়েছে। কেন আমাদের মিছিল সমাবেশ করতে দেবেন না? আমাদের মিছিলে বাধা দিয়ে আপনারা কি ধর্ষকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন? নারী হিসেবে আমার অধিকার মা ও বোনদের বিচার চাওয়া।”
মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের খাগাড়ছড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উক্যনু মারমা বলেন, “আমাদেরকে রাঙামাটিতেও প্রতিবাদ সমাবেশ করতে দেয়নি। খাগড়াছড়িতে একই অবস্থা। এর আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যে ধর্ষণের ঘটনাগুলো ঘটেছে একটিরও সুষ্ঠু বিচার হয়নি। বিচার বহির্ভূত সংস্কৃতি একদিনে তৈরি হয়নি। পাহাড় ও সমতলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পার্বত্য তিন জেলায় পর পর একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বিচার হয়নি।”
এসময় তিনি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় তিন পার্বত্য জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, “নিরাপত্তার শঙ্কায় আমরা পানখাইয়া মোড়ে মিছিলটি আটকে দিয়েছি। তারা সেখানেই সমাবেশ করেছে।”
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) মধ্যরাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে মো. ফাইম তার সহযোগীকে নিয়ে জোরপূর্বক ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরদিন (১৭ এপ্রিল) ভুক্তভোগী তরুণী কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে তিনি এর আগে ২৫ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় মো. ফাহিম তাকে ধর্ষণ করে বলে উল্লেখ করেন।
পরে ভুক্তভোগী তরুণী কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে জানা গেছে।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।