ক্ষমতা হস্তান্তরের রূপরেখা ও অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় সম্পর্কে ইউপিডিএফের প্রস্তাব

0


নিজস্ব প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ৪ আগস্ট ২০২৪

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ক্ষমতা হস্তান্তরের রূপরেখা ও অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় সম্পর্কে প্রাথমিক প্রস্তাব পেশ করেছে।

আজ ৪ আগস্ট ২০২৪ রবিবার ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এই রূপরেখা তুলে ধরেন। এই রূপরেখা নিম্নরূপ:

ক্ষমতা হস্তান্তরের জাতীয় রূপরেখা ও অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় বিষয়ে প্রস্তাবনা:

১। প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রী পরিষদসহ পদত্যাগ করবেন এবং রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য বরেণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করবেন। এই সরকারে অবশ্যই পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়িদের প্রতিনিধি থাকবেন।

২। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হবে নিম্নরূপ:

(ক) একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করা, যে সংবিধানে বাংলাদেশের বহুজাতিক চরিত্রের প্রতিফলন ঘটিয়ে সকল জাতিসত্তার অধিকার নিশ্চিত করা হবে। এই সংবিধানের অধীনে একটি জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যেখানে বাংলাদেশের শ্রমিক, কৃষক, নারী ও সকল সংখ্যালঘু জাতির বিশেষ প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা থাকবে।

খ) একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা এবং এক বছরের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

গ) পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন তুলে নেয়া (কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন জারী রেখে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র কায়েম হতে পারে না) এবং ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাস, খুন, ধরপাকড়, নিপীড়ন বন্ধ করে পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।

ঘ) ক্ষমতা গ্রহণের সাথে সাথে গত পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে আটক ইউপিডিএফ নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতা কুনেন্টু চাকমাসহ কারাগারে আটক সকল রাজবন্দীর মুক্তি দেয়া। ইউপিডিএফের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে জড়িতদের নামে দায়েরকৃত সকল মামলা ও জারীকৃত হুলিয়া প্রত্যাহার করা।

ঙ) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের সময় সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের ৩৬৭ জন নেতাকর্মী-সমর্থককে হত্যা এবং অন্যান্য গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা

চ) ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমাসহ সারাদেশে গুম ও অপহরণ ঘটনার তদন্ত ও বিচার করা।

ছ) পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দ্বারা অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য পুনর্গঠন করা।

জ) পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More