চট্টগ্রামে দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ

রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রাম শহর থেকে র্যাব কর্তৃক ইউপিডিএফ সদস্য নিকেল চাকমা ও শ্রমিক ফ্রন্ট (ইউডব্লিউডিএফ)-এর নেতা সোহেল চাকমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও রাঙামাটির কাউখালী থানার মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ ২০২৫) বিকাল ৩ টার সময় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রাঙামাটি জেলা শাখা যৌথভাবে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।
মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি তনুময় চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বারিঝে চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ধর্মশিং চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা সভাপতি রিপনা চাকমা।
ধর্মশিং চাকমা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে আমরা মনে করেছিলাম দীর্ঘ শাসন- শোষণের অবসান হবে। কিন্তু তা হয়নি। চট্টগ্রামের শহরের মতো জায়গা থেকে নিকেল চাকমা ও সোহেল চাকমাকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় তা প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও শোষণ-বঞ্চনা ও নিপীড়ন চলে যায়নি।
তিনি আরো বলেন, গত ১৬ মার্চ রাঙামাটির সাপছড়ি ইউনিয়নের খামার পাড়ায় ইউপিডিএফ সদস্য নির্মল খীসার হত্যাকারীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় থাকার পরেও তাদেরকে গ্রেফতার না করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ইউপিডিএফ সদস্যদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
রিপনা চাকমা বলেন, নিকেল চাকমা ও সোহেল চাকমাকে বিনা কারণে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। রাঙামাটির কাউখালী থানার যে মামলায় তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে সে ঘটনার সাথে তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। শুধু তাই নয়, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতা-কর্মীদেরও এই মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এভাবে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হয়রানির ঘটনা নতুন নয়। এ যাবত ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহের যেসব নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সকলকেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দি রেখে হয়রানি-নিপীড়ন করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও একই নিপীড়নমূলক পন্থা বেছে নিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে তনুময় চাকমা বলেন, মামলা-হামলা, গ্রেফতার ও হত্যা করে যদি দমিয়ে রাখা যেত, তাহলে বাংলাদেশে এখনো শেখ হাসিনার শাসন থাকতো। ইউপিডিএফের অনেক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা গ্রেফতার, হত্যা, গুম, দমন-পীড়ন করেও জুম্ম জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমন করা যায়নি। সুতরাং মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে ন্যায্য আন্দোলন দমন করা যাবে না।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে নিকেল ও সোহেল চাকমাকে নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।