চবি’র মেধাবী শিক্ষার্থী মিটন চাকমাকে হত্যার বিচার দাবি ও শোক প্রকাশ জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবারের

মিটন চাকমা। গতকাল ১০ নভেম্বর ২০২৪ খাগড়াছড়ির পানছড়িতে জেএসএস (সন্তু)-এর সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন। #সংগৃহিত ছবি
চবি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মিটন চাকমাকে হত্যার বিচার দাবি ও শোক প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার। একই সাথে তারা শোকাতর পরিবারের প্রতি জানিয়েছে গভীর সমবেদনা।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর ২০২৪) জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মিটন চাকমা ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের পালি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে মাস্টার্স শেষ করে ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফ এ যোগ দেন। ব্যাক্তি জীবনে মিটন চাকমা খুবই অমায়িক, ভদ্র-নম্র ও সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি ২০১৮ সালে সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের কোটা পূর্ণবহাল আন্দোলন, করোনা পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিবহণ চালু করা, ক্যাম্পাসে নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ, চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল বন্ধের আন্দোলনসহ পাহাড় ও জাতীয় বিষয়ে ছিলেন সক্রিয় ও সোচ্চার।’
মিটন চাকমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবারের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আসা জুম্ম শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববন্ধন সুদৃঢ়, রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গায় তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। চবি থেকে প্রকাশিত হওয়া জুম্ম শিক্ষার্থীদের ম্যাগাজিন “সিএইচটি মিরর” সম্পাদনা পর্ষদেরও তিনি দায়িত্বে ছিলেন।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা মিটন চাকমাকে হত্যার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, গতকাল (১০ নভেম্বর ২০২৪) দুপুরে মিটন চাকমা খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সাংগঠনিক কাজে থাকা অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির(সন্তু লারমা) একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত দ্বারা হত্যার শিকার হন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মিটন চাকমা হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, “আমরা এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। মিটনের মতো উচ্চশিক্ষিত এবং উদীয়মান নেতৃত্বকে হত্যা করে কারা পাহাড়ে হীন স্বার্থের রাজনীতি ও ভ্রাতৃভাতী সংঘাত জিইয়ে রেখে কাঁদের লাভবান করতে চায় তা আজ ছাত্র সমাজের কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট। অচিরেই এই ধরনের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের রাজনীতি বন্ধ করুন।”
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।