জাতিসংঘের আদিবাসী অধিকার ফোরাম থেকে পিসিজেএসএসকে বহিষ্কারের দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
জেনেভায় জাতিসংঘের UN Expert Mechanism on the Rights of Indigenous Peoples অধিবেশন শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী যুব ফেডারেশন (সিএইচটিআইপিওয়াইএফ) নামের একটি সংগঠন বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত আধা সামরিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপ-এর প্রতিনিধিদের জাতিসংঘের এই সভা থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই ২০২৫) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পিসিজেএসএস বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত আধাসামরিক সংগঠন উল্লেখ করে বলা হয়, তারা অপহরণ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং শিশু সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত, কিন্তু এই সশস্ত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএস-এর মতো সশস্ত্র সংগঠনের জন্য জাতিসংঘ কোনো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে না উল্লেখ করে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, এই সংগঠন এখনো পর্যন্ত অপহৃত ছয়জন আদিবাসী গ্রামবাসী ধনমুনি চাকমা, সুকেশ চাকমা, লক্ষী শান্তি চাকমা, ভাঙ্গা হাদা চাকমা, শান বিকাশ চাকমা, এবং হুল্ল্যা চাকমাকে মুক্তি দেয়নি। যাদেরকে গত ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে রাঙামাটি জেলার সাজেক ইউনিয়নের রাঙ্গাপানি ছড়া গ্রাম থেকে অপহরণ করে ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।
এতে আরো বলা হয়, গত ২৭ বছর ধরে পিসিজেএসএস পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের ক্ষমতায় থেকেও শিশু সৈনিক নিয়োগ, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান এবং শত শত নিরীহ আদিবাসীর ওপর নির্যাতন ও হত্যা চালিয়ে আসছে। ২০২৫ সালের ৪ জুন ত্রিপুরার আগরতলায় পিসিজেএসএস-এর শিশু সৈনিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯ জুন মিজোরামের লুংলেয় জেলায় ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ১০.৪৩ কোটি টাকার মেথ ট্যাবলেটসহ তাদের ক্যাডাররা ধরা পড়ে।
এছাড়া ১২ ফেব্রুয়ারি মিজোরাম পুলিশ তাদের ক্যাডারদের কাছ থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল, পাঁচটি আমেরিকান এম-৪ কারবাইন, ২০টি ম্যাগাজিন, ৭.৬২ মিমি ৫০৪ রাউন্ড ও ৫.৫৬ মিমি ৪,৬৭৫ রাউন্ড গুলি, নগদ ৪৯,৫৫০ টাকা, পরিচয়পত্র, সিম কার্ড, এটিএম কার্ড এবং পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ) ভারতের মতো বিদেশি মাটিতে এমন অপরাধ করেও বাংলাদেশ সরকার সন্তু লারমাকে ক্ষমতায় রেখেছে, কারণ পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ) হচ্ছে একটি সরকারি আধাসামরিক বাহিনী এবং গত ২৭ বছরে তারা বাংলাদেশ সরকারের হয়ে ১,০০০-এর বেশি আদিবাসীকে হত্যা করেছে।
সংগঠনটি জাতিসংঘ এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে আশা প্রকাশ করে বলেছে, জাতিসংঘ এমন একটি সশস্ত্র সংগঠন পিসিজেএসএসকে কোনোভাবেই স্বীকৃতি বা স্থান দিতে পারে না।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।