দীঘিনালার বাবুছড়ায় বিজিবি হামলার পর মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি

0

সিএইচটিনিউজ.কম
পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা ও দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি পরিতোষ চাকমা আজ সোমবার (২৩ জুন) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত Bibrityএক বিবৃতিতে দীঘিনালার বাবুছড়ায় বিজিবি হামলার পর মিথ্যা মামলায় আটক ৩ নারীসহ ৮ পাহাড়ি গ্রামবাসীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।

তারা বলেন, “গত ১১ জুন বাবুছড়ায় বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে বিজিবি, পুলিশ ও সেটলাররা যৌথভাবে তাদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এতে ১৮ জন আহত হন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই হলেন নারী। উক্ত হামলার পর বিজিবির ৫১ ব্যাটালিয়ন ২৫০ জনের বিরুদ্ধে দীঘিনালা থানায় মিথ্যা মামলায় দায়ের করলে পুলিশ খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ৪ নারীসহ মোট ১০জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে এক নারীসহ দুই জনকে আদালত জামিন দিলেও বাকি আট জনকে এখনো আটক রাখা হয়েছে।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাবুছড়ায় বিনা উস্কানীতে হামলাকারী বিজিবি, পুলিশ সদস্য ও সেটলারদের গ্রেফতার ও বিচার না করে উল্টো হামলায় আহতদের গ্রেফতার কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, তা চরম অমানবিক।”

বর্তমানে জেলে বন্দী তিন পাহাড়ি নারী গুরুতর অসুস্থ উল্লেখ করে তারা আরো বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সুস্থ হওয়ার আগেই তাদেরকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনে করেন বাবুছড়ায় বিজিবির ৫১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর নির্মাণের জন্য জোরপূর্বক জমি দখলের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণআন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যেই সরকার এভাবে হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের আশ্রয় নিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দীঘিনালার যত্ন মোহন কার্বারী পাড়া থেকে বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার, গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি, বিজিবির দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবারকে নিজ জমিতে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসন, হামলাকারী বিজিবি-পুলিশ-সেটলারদের গ্রেফতার ও শাস্তি এবং দীঘিনালায় জমি অধিগ্রহণের নামে ভূমি বেদখল বন্ধ করার দাবি জানান।

বর্তমানে জেলে আটককৃতরা হলেন মায়ারাণী চাকমা (৫৫), ফুলরাণী চাকমা(৪৫), অপ্সরী চাকমা(১৬), প্রদীপ কুমার চাকমা(৬০), স্নেহ কুমার চাকমা(৫০), মহেন্দ্র চাকমা(৭০), নিধু রাম চাকমা(৫৫) ও নতুন চন্দ্র চাকমা(৬০)। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
————-

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More