নান্যাচরে জুনান-রুবেল-ধনরঞ্জন-অনিকের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ফেস্টুন-দেওয়াল লিখন

0


নান্যচর প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২০২৪ সালের ১৯-২০ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর ও রাঙামাটিতে সেনা-সেটলারদের হামলায় হত্যার শিকার হওয়া জুনান চাকমা, রুবেল ত্রিপুরা, ধন রঞ্জন চাকমা ও অনিক চাকমার খুনিদের গ্রেফতার ও সাজার দাবিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নান্যাচরে দেওয়াল লিখন ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে।  

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নান্যাচর উপজেলা শাখাসমূহের যৌথ উদ্যোগে নান্যাচরের নোয়াদাম, পাতাছড়ি, নান্যচর কলেজ, টিএন্ডটি বাজার, নান্যচর- লংগদু রাস্তা, বড়পুল পাড়া, মরাচেঙ্গী ও বাকছুড়ি মুখসহ বিভিন্ন দৃষ্টিগ্রাহ্য স্থানে এই দেওয়াল লিখন ও ফেস্টুন টাঙানো হয়।

এসব দেওয়াল লিখন ও ফেস্টুনগুলোতে লেখা রয়েছে- “অবিলম্বে জুনান-রুবেল-ধনরঞ্জন-অনিক এর  খুনীদের গ্রেফতার কর, সাজা দাও; ১৯-২০ সেপ্টেম্বর-এর হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও তাণ্ডবলীলার বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমে আসুন; ‘মোত্তালেব বাহিনী’ ‘সেনাবাহিনী’ ভাই ভাই, আত্মরক্ষার্থে লড়াই ছাড়া আর উপায় নাই; সেনাসৃষ্ট নব্যমুখোশ ‘মোত্তালেব বাহিনী’ ভেঙে দাও; নব্য মুখোশদের অপর নাম ‘মোত্তালেব বাহিনী’; নির্বিচারে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জালিয়াতি বন্ধ কর; রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, পাহাড়কে মুক্ত করে ছাড়বো; চুক্তির পর ‘শান্তিবাহিনী’ হয়েছে ‘সন্তুবাহিনী’ তাদের ‘কাম’ শুধু দালালি ও লেজুড়বৃত্তি” ইত্যাদি।


উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ১৯-২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর ও রাঙামাটি শহরে পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর নির্যাতনে নিহত হন ধন রঞ্জন চাকমা, খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকায় সেনাবাহিনীর নির্বিচার গুলিতে নিহত হন জুনান চাকমা ও রুবেল ত্রিপুরা এবং রাঙামাটিতে সেটলার বাঙালিরা পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে অনিক চাকমাকে।

এক বছরেও অন্তর্বর্তী সরকার এ নৃশংস ঘটনার বিচারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।  



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More