পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ১২তম কাউন্সিল শুরু
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম

অনুষ্ঠানে বিপুল চাকমা তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা অন্দোলন, ১৯৬২ শরিফ কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯ এবং ৭১ এর মুক্তির সংগ্রামে ছাত্র সমাজ ভূমিকা পালন করেছে। এ ধরনের ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
ইউপিডিএফ কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব চাকমা বলেন, সরকার ও শাসক শ্রেণীর ষড়যন্ত্রের জাল থেকে বের হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে। লোক দেখানো আন্দোলন ও সরকারের দালালিপনা বন্ধ করে জনগণের আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য তিনি সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানান।
মাইকেল চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহকে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য অবাঞ্ছিত ও বিতর্কিত ব্যক্তি বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীকে পুনঃনিয়োগের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য সরকারে প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি আরো বলেন, সরকার ও সন্তু লারমার মদদে বান্দরবানে ইউপিডিএফ জেলা অফিসে হামলা ও নেতা কর্মীদের উপর অতর্কিতে সন্ত্রাসী আক্রমনের তীব্র নিন্দা জানান এবং গ্রেফতারকৃত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সদস্য বিজয় মারমার নিঃস্বর্ত মুক্তির দাবি করেন।
চন্দনী চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন নারীরা আজ নিরাপরাদ নয়, সবত্রই তারা এক ভীতিকর পরিস্থিতির মুখে। তিনি আরো বলেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমার অপহরণকারী লে: ফেরদৌসের বিচার না হওয়ায় পাহাড়ে নারী ধর্ষণ বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং এই বিষয়ে কঠোর পদপে গ্রহণের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট থেকে একটির্ যালী বের করা হয়।র্ যালীটি চেঙ্গীস্কোয়ার পৌঁছলে পুলিশের বাঁধার মুখে পরে। এক পর্যায়ে চেঙ্গীস্কোয়ারে সংপ্তি সমাবেশ করের্ যালীটি খাগড়াছড়ি জেলা সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটে এসে শেষ হয়।